আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯-০৯-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

যে ৩ কাজ তাড়াতাড়ি করতে বলেছেন মহানবী

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩
  • / পঠিত : ২৩৫ বার

যে ৩ কাজ তাড়াতাড়ি করতে বলেছেন মহানবী

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করতে নিষেধ করেছেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বরং ধীরস্থিরভাবে যেকোনও কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ধৈর্য ও স্থিরতা আল্লাহর পক্ষ থেকে, আর তাড়াহুড়া শয়তানের পক্ষ থেকে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২০১২)

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘মানুষ সৃষ্টিগতভাবে তাড়াহুড়াপ্রবণ, শিগগির আমি তোমাদের আমার নিদর্শনাবলি দেখাব; কাজেই তোমরা তাড়াহুড়া কামনা কোরো না। (সুরা আম্বিয়া, আয়াত, ৩৭)

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধীরস্থিরতা অবলম্বনের কথা বলা হলেও কিছু কিছু কাজ তাড়াতাড়ি করা উত্তম। মহানবী (সা.) স্বীয় জামাতা, জ্ঞানতাপস এবং ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলী (রা.)-কে উপদেশ দিয়ে বলেন, ‘হে আলী, তিন কাজে দেরি করবে না। সময় হয়ে গেলে নামাজ আদায়ে, জানাজা এসে গেলে জানাজার নামাজ পড়তে এবং কুফু মিলে গেলে বিবাহে বিলম্ব করবে না।’ ((তিরমিজি ১/২০৬)

১. যখন নামাজের সময় হয়, সঙ্গে সঙ্গে আদায় করা উত্তম। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘নামাজের প্রথম ওয়াক্ত আল্লাহর সন্তুষ্টি, আর শেষ সময় আল্লাহর ক্ষমা। (তিরমিজি ও মিশকাত, হাদিস : ৬০৬)

মহানবী (সা.) বলেছেন, নামাজের প্রথম ওয়াক্ত আল্লাহর সন্তুষ্টি, আর শেষ সময় আল্লাহর ক্ষমা। (তিরমিজি ও মিশকাত, হাদিস : ৬০৬)
উম্মে ফারওয়া (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, কোন আমলটি (পুণ্যের দিক দিয়ে) উত্তম? তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন, প্রথমে ওয়াক্তে নামাজ পড়া (আহমদ, তিরমিজি, আবু দাউদ, মিশকাত হাদিস : ৬০৭)


২. জানাজার নামাজ মাকরুহ সময়ও পড়া জায়েজ। জানাজা বিলম্ব করা মাকরুহ। কেননা মৃত ব্যক্তি যদি জান্নাতি হয়, তাহলে তাকে দেরি করার দ্বারা জান্নাতের নিয়ামত থেকে বঞ্চিত করা হলো। আর যদি জাহান্নামি হয়, তাহলে তাকে শাস্তি থেকে দূরে রাখা হলো।

৩. যখন ছেলে-মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয় এবং কুফু বা সমমানের পাত্র-পাত্রী পাওয়া যায়, অভিভাবকের দায়িত্ব তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করা। ছেলে-মেয়েদের যত দ্রুত বিবাহের ব্যবস্থা করা যাবে ততই তারা ব্যভিচার থেকে বাঁচতে পারবে। (তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস : ৬০৫।)

 অবশ্যই পাত্রের স্বীয় স্ত্রীর ব্যয়ভার তথা মোহরানা পরিশোধ করার এবং অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান প্রদান করার মতো সামর্থ্য থাকতে হবে। ছেলে-মেয়েদের যত দ্রুত বিবাহের ব্যবস্থা করা যাবে ততই তারা ব্যভিচার থেকে বাঁচতে পারবে। (তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস : ৬০৫)

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba