আজঃ বৃহস্পতিবার ২১-১১-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

রাঙামাটিতে জেলা পরিষদ সদস্যসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩
  • / পঠিত : ২২৮ বার

রাঙামাটিতে জেলা পরিষদ সদস্যসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা

ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য, নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ঠিকাদার, ইউপি সদস্যসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের করেছে রাঙামাটি দুর্নীতি দমন কমিশন। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়। 

রাঙামাটির দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক জাহিদ কামাল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাঙামাটির দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আহমেদ ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করেছেন। 

মামলাগুলোর এজাহারে বলা হয়, রাঙামাটির বরকল উপজেলার ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত কামিনী চাকমার জমির উপর মৎস্য বাঁধ ও পাকা সেচ ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫৩ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এ কাজে সংশ্লিষ্ট রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, সহকারী প্রকৌশলী জ্যোতির্ময় চাকমা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সমৃদ্ধি এন্টারপ্রাইজের নামে মামলা দায়ের করা হয়।  

আরেক এজাহারে বরকল উপজেলাধীন সুবলং বাজারে পানীয় জলের ব্যবস্থাকরণসহ গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। এই মামলায় তিন প্রকৌশলীর পাশাপাশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাংচিং এন্টারপ্রাইজের চিংহেন রাখাইনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ প্রকল্পটি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গৃহীত হয় এবং প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৭ লক্ষ টাকা।

৩ নং এজাহারে বরকল উপজেলাধীন সুবলং ইউনিয়নে সুবলং কমিউনিটি সেন্টার ঘর ও পাকা সিঁড়ি নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় তিন প্রকৌশলীর পাশাপাশি জেলা পরিষদের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে সিলেটে কর্মরত) কাজী আবদুস সামাদ, ঠিকাদার অমলেন্দু চাকমা ও জেলা পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমার নামে মামলা দায়ের করা হয়। 


৪নং এজাহারে বরকল উপজেলাধীন পূর্ব এরাবুনিয়া মৎস্য বাঁধ থেকে হারুন টিলা এলাকার আহাদ এর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার নামক প্রকল্পের মাধ্যমে ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫৩ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। প্রকল্পটি গৃহীত হয় ২০১৬-১৭ সালে এবং প্রকল্প ব্যয় ছিল ১০ লাখ টাকা। তদন্তে উক্ত স্থানে কোনো মৎস্য বাঁধ এবং হারুন টিলা নামে কোন জায়গাও পাওয়া যায়নি। তদন্তে এটি অস্তিত্বহীন ও ভুয়া প্রকল্প ছিল বলে জানা যায়। এই মামলার আসামিরা হলেন বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ, সহকারী প্রকৌশলী জ্যোতির্ময় চাকমা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা, ঠিকাদার নাংচিং এন্টারপ্রাইজের চিংহেন রাখাইন, ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মামুনুর রশীদ, এবং জেলা পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা।

এ বিষয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া বলেন, আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। মামলা হয়েছে বলে শুনেছি। 

জেলা পরিষদ সদস্য সবির কুমার বলেন, আমিও আপনার মতো শুনেছি মামলা হয়েছে। তবে এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। যদি সরাসরি প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায় যে প্রকল্প দৃশ্যমান নেই এবং এলাকাবাসী সাক্ষ্য দেয় তবেই মামলা হতে পারে। আশা করছি, সাংবাদিকরা অনুসন্ধানের মাধ্যমে সঠিক তথ্য লিখবেন।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba