আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯-০৯-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

যশোরের বাঘারপাড়ার ৪ আসামির রায় যে কোনো দিন

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: শুক্রবার ১২ মে ২০২৩
  • / পঠিত : ১৭৯ বার

যশোরের বাঘারপাড়ার ৪ আসামির রায় যে কোনো দিন

 : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির রায় যে কোনো দিন (সিএভি) ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, মো. সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন শুনানি করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
২০১৮ সালে ১৬ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডিতে এ মামলায় তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। আসামিরা হলেন- মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস, মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা ও মো. নওশের বিশ্বাস।
এরমধ্যে অন্য মামলায় গ্রেফতার থাকা আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে হাজিরের পর থেকে এ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। আর বাকী চারজন ছিলেন পলাতক। এরমধ্যে নওশের বিশ্বাস মারা গেছেন। ফলে এখন আসামি চারজন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আমজাদ মোল্লা যশোর বাঘারপাড়া থানার থানার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল শেষ হয়। তদন্ত সংস্থা মামলায় পূর্ণাঙ্গ  প্রতিবেদন দাখিলের পর ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিল করে প্রসিকিউশন। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে ট্র্যাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানাধীন উত্তর চাদপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী মো. ময়েনউদ্দিন ওরফে ময়না এবং মো. আয়েনউদ্দিন ওরফে আয়েনকে অপহরণ করে হত্যা, একই গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক ও আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা প্রদানকারী ডা. নওফেল উদ্দিন বিশ্বাসকে হত্যা, গাইদঘাট গ্রামের সুরত আলী বিশ্বাস ও মোক্তার বিশ্বাসকে অপহরণ করে হত্যা এবং মাগুরা জেলার শালিখা থানার সীমাখালীর চিত্রা নদীর খেয়াঘাটের মাঝি রজব আলী বিশ্বাসকে আটক করে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে সাক্ষ্য পেশ করে প্রসিকিউশন।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba