- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
নেহেরু মিউজিয়ামের নাম বদলালেন মোদি, নিন্দা কংগ্রেসের
- আপডেটেড: শনিবার ১৭ জুন ২০২৩
- / পঠিত : ১০৯ বার
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেসের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর নামাঙ্কিত প্রতিষ্ঠিত ‘নেহেরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি (এনএমএমএল) সোসাইটি’র নাম বদলে দিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটির নতুন নাম ‘প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রহশালা ও সোসাইটি’।
রাজধানী নয়াদিল্লির তিন মূর্তি ভবন কমপ্লেক্সে অবস্থিত যে ভবনটি জওহরলাল নেহেরুর সরকারি বাসভবন ছিল, ১৯৬৪ সালে তার মৃত্যুর পর সেটিকে জাদুঘর ও লাইব্রেরিতে রূপ দেয় তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার। রূপান্তরিত সেই ভবনটির নাম দেওয়া হয় ‘নেহেরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি (এনএমএমএল) সোসাইটি।’ ১৯৬৪ সালের ১৪ নভেম্বর ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন করেছিলেন।
এনএমএমএল সোসাইটি একটি স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা। আধুনিক ও সমকালীন ভারতের গবেষণায় এই সংস্থা সহায়ক। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনার জন্য ২৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি নির্বাহী কমিটি রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদাধিকারবলে সেই কমিটির চেয়ারম্যান। সেই অনুযায়ী বর্তমান নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান নরেন্দ্র মোদি এবং কো চেয়ারম্যান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, ধর্মেন্দ্র প্রধান, জি কিষেণ রেড্ডি, অনুরাগ ঠাকুর প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার নির্বাহী কমিটির বৈঠকে প্রতিষ্ঠানটির নাম বদলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। নরেন্দ্র মোদি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকায় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির কো-চেয়ারম্যান রাজনাথ সিং।
এদিকে নেহেরু মিউজিয়ামের নাম পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে কংগ্রেসের বর্তমান সর্বভারতীয় প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়্গে এক বার্তায় বলেন, ‘যাদের নিজেদের ইতিহাস বলতে কিছু নেই, তারাই অন্যের ইতিহাস মুছে ফেলতে চায়। নেহেরু মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরির নাম পরিবর্তনের ব্যাপারটি বিজেপির জন্য একটি দুর্ভাগ্যজনক পদক্ষেপ, কারণ পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুকে খাটো করার যে উদ্দেশ্য নিয়ে তারা এটি করেছে— তা কখনও সফল হবে না। ভারতের ইতিহাসে নেহেরু সব সময়ই আধুনিক ভারতের স্থপতি ও গণতন্ত্রের নির্ভীক অভিভাবক হিসেবে স্মরণীয় থাকবেন।’
কংগ্রেসের অপর জেষ্ঠ্য নেতা ও দলীয় মুখপাত্র জয়রাম রমেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামকে ‘ক্ষুদ্রতা, নীচতা ও প্রতিহিংসার সমার্থক’ উল্লেখ করে এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘৫৯ বছর ধরে নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি বিশ্বে জ্ঞান ভান্ডার ও বৌদ্ধিক বিকাশের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এর বইপত্র ও অন্যান্য সংগ্রহ অতুলনীয়। এবার থেকে এই স্থাপনা ‘প্রধানমন্ত্রী মেমোরিয়াল ও সোসাইটি’ বলে পরিচিতি পাবে। ভারতের রূপকারের নাম ও উত্তরাধিকার ধ্বংস ও বিকৃত করতে আর কী কী বাকি রাখবেন মোদি?’
‘আসলে মোদি কোনো রাজনীতিবিদ নন। তিনি হলেন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা খুবই ক্ষুদ্র একজন ব্যক্তি, যিনি নিজেকে বিশ্বগুরু মনে করেন,’ টুইটবার্তায় বলেন জয়রাম রমেশ।
অবশ্য কংগ্রেসের এই ক্ষোভের পাল্টা প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। তাদের বক্তব্য, কংগ্রেস কখনও গান্ধী পরিবারের বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা করতে পারে না। যে কারণে নেহেরু পরবর্তী ভারতের অন্যান্য প্রধানমন্ত্রীকে স্বীকৃতি দিতে তারা ব্যর্থ।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা এক টুইটবার্তায় বলেন,‘ভারতের স্বাধীনতা এবং ভারতীয় জাতিকে গড়ে তোলার পেছনে একটি নির্দিষ্ট পরিবারের বাইরে আরও অনেকের অবদান রয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রহশালা ও সোসাইটি’ নামকরণের মাধ্যমে আমরা ভারতের সব প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানানোর চেষ্টা করেছি। কংগ্রেস এর গুরুত্ব বুঝতে পারছে না— এটা তাদের ব্যর্থতা।’
বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র নীরজ শেখর আরেক টুইটবার্তায় বলেন, ‘আমার বাবা এবং ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখর তার সারা জীবন ভারত ও ভারতীয়দের উন্নয়নে উৎসর্গ করেছেন। এক্ষেত্রে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গেও কাজ করেছেন। কিন্তু কংগ্রেস পরিবারতন্ত্রের বাইরে কাউকে ভাবতে পারে না— এটা খুবই দুঃখজনক।’
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার