আজঃ বৃহস্পতিবার ২১-১১-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

জিলহজ মাসের যেসব আমল আল্লাহর অনেক প্রিয়

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: সোমবার ১৯ জুন ২০২৩
  • / পঠিত : ২২৭ বার

জিলহজ মাসের যেসব আমল আল্লাহর অনেক প্রিয়

হিজরি বর্ষপঞ্জির সর্বশেষ মাস জিলহজ মাস। এ মাস চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। এটি হজের মাস, ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়ার মাস, প্রভুর সান্নিধ্য লাভের মাস। পবিত্র রমজান মাসের পর গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সময় হলো জিলহজ মাসের প্রথম ১০দিন। এই দিনগুলোর ইবাদত আল্লাহ তায়ালার নিকট অতি প্রিয়। 

জিলহজ মাসের প্রথম দশকের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা পবিত্র কোরআন মাজিদে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই দশকের রাতের শপথ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, 'শপথ ফজরের, শপথ দশ রাতের।' (সূরা আল-ফজর, আয়াত, ১-২)।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) ও মুজাহিদ (রহ.)সহ অনেক সাহাবি, তাবেয়ি ও মুফাসসির বলেন, এখানে ‘দশ রাত’ দ্বারা জিলহজ মাসের প্রথম দশ রাতকেই বুঝানো হয়েছে। (তাফসিরে ইবনে কাসির)।

সুতরাং এই দশ দিনের আমল আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয়। এই দশ দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে  রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘মহান আল্লাহর নিকট জিলহজ মাসের দশ দিনের নেক আমলের চেয়ে অধিক প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই।

সাহাবায়ে কিরাম আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও এর চেয়ে উত্তম নয়? তিনি বললেন, না, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও নয়। তবে হাঁ, সেই ব্যক্তির জিহাদের চেয়ে উত্তম যে নিজের জান-মাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য বের হয়েছে। অতপর কোনো কিছু নিয়ে ঘরে ফিরে আসেনি।" (সুনানে আবু দাউদ, সহিহ বুখারি, জামি তিরমিজি, সুনানে ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমদ)।

অন্যত্র আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘দুনিয়ার সর্বোত্তম দিনগুলো হল, জিলহজ মাসের দশদিন। জিজ্ঞাসা করা হলো, আল্লাহর রাস্তায়ও কি তার সমতুল্য নেই? তিনি বললেন, আল্লাহর রাস্তায়ও তার সমতুল্য নেই। তবে ওই ব্যক্তি যার চেহারা ধুলিযুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ শাহাদাত লাভ করেছে।’ (মুসনাদে বাযযার, মুসনাদে আবু ইয়ালা, মাজমাউল যাওয়াইদ)।

এসব বর্ণনা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়, জিলহজ মাসের প্রথম দশক অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। তাই একজন মুসলিমকে ইবাদতের এই সুবর্ণ সময়েরসদ্ব্যবহার করে অন্য সময়ের আমলের ঘাটতি পূরণ করার জন্য প্রস্তুত হওয়া জরুরী। 

আক্ষেপের বিষয় হলো, পবিত্র কোরআন-হাদিসে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া এই ইবাদতের সময় সম্পর্কে সমাজের খুব স্বল্পসংখ্যক মুসলিমই ধারণা রাখেন। জিলহজ মাসের প্রথম দশকের উল্লেখযোগ্য কিছু আমল হলো-

>> ঈদুল আজহার সালাত আদায়: জিলহজ মাসের দশম দিন ঈদুল আজহার সালাত প্রত্যেক সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন পুরুষের উপর ওয়াজিব। যা ঈদগাহে গিয়ে আদায় করতে হয়। হজরত আবু সাঈদ (রা.) বলেন, ‘নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর এবং আজহাতে ঈদগাহে যেতেন।’ (সহিহ বুখারি)।

>> কুরবানি করা: এ দিনগুলোর দশম দিন ঈদের সালাতের পর সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব। আল্লাহ তায়ালা তার নবীকে কোরবানি করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি তোমার রবের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করো ও কোরবানি করো।’ (সূরা আল-কাউসার, আয়াত,২)।

>> কোরবানি করতে ইচ্ছুক ব্যক্তির এই দশদিন- নখ, চুলসহ শরীর থেকে কোনো কিছু কর্তন না করা মুস্তাহাব। এ সম্পর্কে হজরত উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলছেন, ‘যে ব্যক্তি জিলহজ মাসের চাঁদ দেখে এবং কোরবানির ইচ্ছা করে, সে যতক্ষণ কোরবানি না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত যেন চুল বা নখ না কাটে।' (সহিহ মুসলিম)

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba