- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ভারতীয় বন্ধু মেজর পি কে ঘোষের মৃত্যু
- আপডেটেড: রবিবার ০৯ জুলাই ২০২৩
- / পঠিত : ৮৩ বার
ডেস্ক: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তি বাহিনীকে সর্বপ্রথম সহায়তাদানকারী ভারতীয় সেনা অফিসার মেজর পরিমল কুমার ঘোষ মারা গেছেন। তিনি পি কে ঘোষ নামেই সমধিক পরিচিত। গত ৬ জুলাই বার্ধ্যক্যজনিত কারণে ভারতের নতুন দিল্লিতে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে শনিবার এক বিবৃতিতে গভীর শোক জানিয়েছে সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম–মুক্তিযুদ্ধ’৭১।
এদিকে মুক্তযুদ্ধের বন্ধু পি কে ঘোষকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ সন্মাননা না দেওয়ায় বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অনেকেই তার স্বীকৃতির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সমালোচনা করেছেন। জানতে চাইলে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুণ হাবীব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে মেজর পি কে ঘোষের অনন্য অবদান রয়েছে। অথচ তিনি এখনও মুক্তিযুদ্ধ সন্মাননা পাননি। এটি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। সরকার ইতোমধ্যে সাড়ে তিনশ’র বেশি মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি বন্ধুদের নানা শ্রেণিতে সন্মাননা দিয়েছে। পি কি ঘোষের বিষয়টি আগে নজেরে আসেনি। আশা করছি তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সরকার ইতিবাচক হবে।’
মুক্তিযু্দ্ধের ভারতীয় বন্ধু পি কে ঘোষ ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে ক্যাপ্টেন হিসেবে ত্রিপুরার শ্রীনগর, আমলিঘাট ও নালুয়া বর্ডারে দায়িত্বরত বিএসএফের কোম্পনির কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। ২৫ মার্চ ঢাকায় গণহত্যা শুরুর পর ২৬ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে হানাদার পাকিস্তান বাহিনীর একটি দল দ্রুত কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ শোভাপুর ব্রিজ দখল করার জন্য অগ্রসর হতে থাকে। এ সময় পাকিস্তানি সেনারা নির্বিচারে এলাকার নারী-পুরুষের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকে। সেখানকার বাঙালি ইপিআর সৈনিকদের সীমিত শক্তিতে পাকিস্তান বাহিনীকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি।
তখন ইপিআরের স্থানীয় হাবিলদার নুরুদ্দিন এবং তৎকালীন এমএনএ অধ্যাপক ওবায়দুল্লাহ মজুমদার ও আওয়ামী লীগ নেতা ডা. আমির হোসেন সীমান্ত পেরিয়ে ক্যাপ্টেন পি কে ঘোষের সঙ্গে দেখা করে সাহায্য চান। এ সময় শত শত স্থানীয় মানুষ ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে ইপিআর দলটির সাহায্যে এগিয়ে আসতে থাকলে তারা পাকিস্তান বাহিনীর মেশিনগানের গুলির মুখে পড়ে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন করে ক্যাপ্টেন ঘোষ ইপিআর হাবিলদার নুরউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি ক্ষুদ্র বাহিনী তৈরি করেন। পরে অগ্রসরমান পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ২৭ ও ২৮ মার্চ নবগঠিত মুক্তি বাহিনী ও পাকিস্তানি সৈন্যদের মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলির পর পাকিস্তানি সৈন্যদলটি অবরুদ্ধ হয়। তাদের রসদ ও খাবার ফুরিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তারা পরাজিত হয়, কেউ কেউ আত্মসমর্পণ করে, বাকিরা পালিয়ে যায়। নবীন মুক্তি বাহিনী এরপর হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে শোভাপুর ব্রিজে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ায়। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে এলাকা মুখরিত হয়। মেজর পি কে ঘোষ যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তে মুক্তি বাহিনীর পরম সুহৃদ হিসেবে অসামান্য ভূমিকা রাখেন।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার