- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
প্রধানমন্ত্রীর এপিএসের নামে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন বাবা-ছেলে
- আপডেটেড: সোমবার ১০ জুলাই ২০২৩
- / পঠিত : ৭৭ বার
প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ হাফিজুর রহমান লিকুর নাম ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শনিবার (৮ জুলাই) রাতে ডিবির সাইবার টিম রাজধানীর উত্তরা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
তারা হলেন- মজিবুর রহমান খন্দকার (৭৩) এবং তার ছেলে জাহিদুর রহমান খন্দকার (৪১)। গ্রেপ্তারের সময় জব্দ করা হয় পুরোনো চারটি মোবাইল ফোন, চারটি সিম কার্ড, প্রতারণায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ভুয়া পরিচয়পত্র, মাদক গ্রহণে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম ও বেশ কিছু ভুয়া নিয়োগপত্র।
সর্বশেষ রোববার (৯ জুলাই) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার এক ভুক্তভোগীকে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ডে (বিপিডিবি) চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৬ লাখ টাকা লেনদেন করার ছিল। তবে তার আগেই তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের একটি দল।
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের কর্মকর্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ হাফিজুর রহমান লিকুর ছদ্মবেশ ধারণ করে সম্প্রতি প্রতারণা শুরু করেন জাহিদুর রহমান। বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি, বদলি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে অভিনব প্রতারণা শুরু করেন তিনি। এপর্যন্ত বাবার সহযোগিতায় ৬/৭ জনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি ও পদোন্নতি দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় পুলিশ বাদী একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আজ তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ হাফিজুর রহমান লিকুর ছদ্মবেশ ধারণ ও মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি, বদলি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে আসছে। এমন তথ্য পেয়ে সত্যতা নিশ্চিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে গতরাতে উত্তরা পশ্চিম থানা দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। প্রতারণায় ছেলে জাহিদুর রহমান প্রধান অভিযুক্ত।
ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের এডিসি সাইফুর রহমান আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, অভিনব প্রতারণার প্রধান জাহিদুর রহমান খন্দকার ইংরেজি মাধ্যমে মানারত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ও-লেভেল পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। পরে মাদকাসক্তির কারণে পড়ালেখায় ছেদ ঘটে। তারপর থেকে বিভিন্ন রকম প্রতারণায় জড়িয়ে পড়েন। তিনি বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে থাকেন। তার বাবা মজিবুর রহমান বিভিন্ন ছদ্মনামে প্রতারণা করে থাকেন। তিনি নিজেকে বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনীর রিটায়ার্ড মেজর বলে পরিচয় দেন। তাছাড়াও তিনি ব্যবসায়ী, হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার, পিএইচডি ডিগ্রিধারী বলে পরিচয় দিতেন।
তিনি বলেন, গত দুই মাস আগে থেকে জাহিদুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ হাফিজুর রহমান লিকুর ছদ্মবেশ ধারণ করে খোদ নিজের বাবার সঙ্গে প্রতারণা শুরু করেন। তার বাবা মজিবুর রহমান খন্দকারকে বিশ্বাস করান প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ লিকুর সঙ্গে তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেও বাবাকে প্রলুব্ধ করেন। এরপর অন্য মোবাইল নাম্বার থেকে ছেলে জাহিদুর নিজেকে এপিএস-২ এর পরিচয় দিয়ে বাবার সঙ্গেও কথা বলেন। বিভিন্ন কাজে সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেন। এতে মজিবুর রহমান প্রলুব্ধ হন। বিভিন্ন ব্যক্তিকে এপিএস-২ এর তদবিরের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে চাকরিতে নিয়োগ, বদলির আশ্বাস, পদোন্নতি লোভ দেখিয়ে প্রতারণা শুরু করেন এবং তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন এবং আত্মসাৎ করেন।
ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম-দক্ষিণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এরইমধ্যে প্রতারণার জন্য মজিবুর রহমান অনেকগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাইল তৈরি করেছেন। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অতিরিক্ত সচিব থেকে সচিব পদে পদোন্নতি, অতিরিক্ত মহাপরিচালক থেকে মহাপরিচালক পদে পদোন্নতি (বাংলাদেশ রেলওয়ে), সিনিয়র সহকারী পরিচালক থেকে উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি (পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন, পুলিশ ইন্সপেক্টর থানায় ওসি হিসেবে পদায়ন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে নিয়োগ।
প্রধান অভিযুক্ত জাহিদুর রহমান খন্দকার প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ হাফিজুর রহমান লিকু এর ছদ্মবেশ ধারণ ছাড়াও জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, হযরত শাহাজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের বি.এম. ট্রান্সপোর্ট লি. এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিতেন। আরও তৈরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভুয়া এনআইডি।
ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) এর ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহমুদুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছেলের কথায় বাবা প্রতারণায় জড়ালেও ছেলেই যে লিকু সেজে প্রতারিত করছে তা তিনি গ্রেপ্তারের আগে পর্যন্ত জানতে পারেননি। তিনি ধরেই নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ এর সহযোগিতায় চাকরি হবে।
তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৬/৭ জনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পেয়েছি। আজও একজনকে বিপিডিবিতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৬/৭ লাখ টাকা লেনদেনের কথা ছিল।
অবৈধভাবে চাকরি প্রত্যাশা করে কারো সঙ্গে লেনদেন মানেই প্রতারণা উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা বলেন, অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার জন্য টাকা পয়সা লেনদেন উচিত নয়। অপরিচিত কেউ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে চাকরি দিতে চাইলে বুঝতে হবে পাতানো ফাঁদ, তাতে পা দেওয়া যাবে না। কোনো ধনেরে হয়রানির শিকার হলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশি সহায়তা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার