- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
ও নদী তুই আমার বাবারে কেন কাইড়া নিলি’
- আপডেটেড: সোমবার ১০ জুলাই ২০২৩
- / পঠিত : ১৭৫ বার
ও নদী তুই আমার বাবারে কেন কাইড়া নিলি। বাবা কইছিলো, নদীতে যাইতাছি, আমার জন্য দোয়া করিস। এবার বাড়িতে আইলে ঘরের কিছু কাজ করুম। কেমনে জানুম এই যাওয়া বাবার শেষ যাওয়া।’ এভাবেই আহাজারি করে কথাগুলো বলছিলেন নিহত আব্দুর রহিমের বড় মেয়ে।
রোববার (৯ জুলাই) সকালে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজের চতুর্থ দিনে নিহত আব্দুর রহিমের (৫৫) মরদেহ পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বড় মেয়ে সুরমা বেগম। এ সময় পরিবারের কান্নায় আশপাশ ভারি হয়ে উঠে।
সুরমা বেগম আরও বলেন, বাবার ট্রলারে ২১ জন জেলে ছিলেন। সবাই জীবিত পরিবারের কাছে ফিরলেও বাবা লাশ হয়ে ফিরেছেন। এখন আমাদের কে দেখবে। আমরা বাবাকে হারিয়ে পাঁচ ভাই বোন অসহায় হয়ে পড়েছি। আমরা এখন এতিম হয়ে গেলাম। আল্লাহ আপনি কেন আমাদের এমন পরীক্ষায় ফেললেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকালে উপজেলার নিঝুম দ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে ‘এমভি ফাতেমা-১’ নামে মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ২০ জেলে জীবিত উদ্ধার হলেও আব্দুর রহিম (৫৫) নিখোঁজ হন। তিনি হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বড়দেইল গ্রামের মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে। তিনি ট্রলারের বাবুর্চি হিসাবে কাজ করতেন।
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক ও মাঝি মোজাম্মেল হোসেন বলেন, গত ৩ জুলাই ২১ জন জেলেসহ সাগরে মাছ ধরতে যাই। সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় তীরে ফিরে আসছিলাম। আসার পথে প্রচণ্ড ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে ট্রলারটি উল্টে যায়। এতে আমরা ২০ জন সাঁতরে পাশে থাকা একটি ট্রলারে ওঠি। কিন্তু কেবিনের মধ্যে থাকা ট্রলারের বাবুর্চি আব্দুর রহিম বের হতে পারেনি। তিনিসহ ট্রলারটি একেবারে ডুবে যায়।
বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারে ৪টি ট্রলার পাঠাই। আজকে সকালে ট্রলার উদ্ধার করা হলে কেবিনের ভেতরে আব্দুর রহিমের মরদেহ পাওয়া যায়। বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হয়। অসহায় নিহতের পরিবারকে সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।
হাতিয়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মানস মন্ডল বলেন, মাছ ধরতে গিয়ে দুর্ঘটনায় নিহত জেলেদের জন্য সরকারি সহায়তা রয়েছে। আমি আশ্বাস দিচ্ছি দ্রুত সময়ে সরকারি সহায়তা পেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার বলেন, আমি নিহত জেলে আব্দুর রহিমের পরিবার সম্পর্কে জেনেছি। এমন মৃত্যু সত্যিই মর্মান্তিক। সরকারি সহায়তা পেতে উপজেলা প্রশাসন থেকে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন আমরা তা নিবো।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার