আজঃ রবিবার ২৪-১১-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলাবাসী পাচ্ছেন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: মঙ্গলবার ১৮ জুলাই ২০২৩
  • / পঠিত : ৮৭ বার

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলাবাসী পাচ্ছেন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেরাবাসী পাচ্ছেন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‌‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (এসএমইউ) স্থাপন’ প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য তোলা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

পরিকল্পনা কমিশন জানায়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন’ প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে প্রকল্পটি আজ একনেকে অনুমোদনের জন্য তোলা হয়েছে। একনেকে অনুমোদনের পর প্রকল্পটি চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকল্পটির জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা। সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় (ইউনিয়ন- মোল্লারগাঁও; মৌজা- গোয়ালগাঁও ও হাজরাই) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান এবং সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণসহ অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, ৮০.৩১ একর ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্রয়; ভূমি উন্নয়ন; ২টি আবাসিক ও ১০টি অনাবাসিক ভবন নির্মাণ; পরামর্শক ব্যয়; চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ক্রয়; বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি (এয়ার কুলার, লিফট) সরবরাহ; অফিস ও আইসিটি ইকুইপমেন্ট এবং আসবাবপত্র ক্রয়।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) জানায়, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ১০.৪.২ অনুচ্ছেদে, ‘স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়সমূহে শিক্ষকদের গবেষণা কার্যক্রম বাড়ানো এবং স্নাতকোত্তর স্বাস্থ্যশিক্ষার প্রসারে প্রত্যেক বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা’ করার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। যা সরাসরি আলোচ্য প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় চিহ্নিত সূচকসমূহের অগ্রগতিতে গুরুত্বর্পূণ অবদান রাখবে এবং চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-৩ হচ্ছে ‘সকল বয়সী সকল মানুষের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ’। এ অভীষ্টের মধ্যে বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা আলোচ্য প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ এ ‘স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের গুণগতমান ও পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ রয়েছে। সার্বিকভাবে, আলোচ্য প্রকল্পটি উন্নয়ন পরিকল্পনার লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের মতামতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিলেট জেলা ও এর আশেপাশের প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ লোককে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের পাশাপাশি বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে। এছাড়া, উন্নতমানের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণার মাধ্যমে চিকিৎসা জনশক্তি ও অন্যান্য সুবিধাদি বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটি সমাপ্ত করার জন্য উদ্যোগী বিভাগ, বাস্তবায়নকারী সংস্থা ও আইএমইডি কর্তৃক নিবিড় তদারকি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba