- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
কুকি-চিন আতঙ্কে পর্যটকশূন্য বান্দরবান : সবকিছু যেন থেমে আছে এখানে
- আপডেটেড: মঙ্গলবার ০৮ Aug ২০২৩
- / পঠিত : ৩৮৬ বার
বগালেক, দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার স্বাদু পানির হ্রদ। বান্দরবানের রুমা উপজেলায় অবস্থিত এ চমৎকার পর্যটন কেন্দ্র। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৮০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অধিকারী বগালেক দেখতে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমান। শীত ও বর্ষা মৌসুমে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসেন এখানে।
প্রতিদিন যেখানে দুইশর বেশি পর্যটকের যাতায়াত ছিল সেই বগালেক আজ পর্যটকশূন্য। পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আতঙ্কে দৃষ্টিনন্দন ও জনপ্রিয় এ পর্যটন কেন্দ্র এখন খাঁ খাঁ করছে।
গত ১২ জুলাই পর্যটক যাতায়াতের ওপর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও আতঙ্ক কাটেনি এখনও। ফলে একদিকে যেমন স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি হুমকির মুখে পড়েছে গোটা বান্দরবানের পর্যটন শিল্প।
গত ২ আগস্ট সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পর্যটক না থাকায় একবারে সুনসান নীরবতা বগালেক পাড়ে। সারাদিনে একজন পর্যটকেরও দেখা মেলেনি স্পটটিতে। লেকের পাশে বগালেক পাড়ার (বম পাড়া) পর্যটন-কেন্দ্রিক বিভিন্ন দোকানও ক্রেতাশূন্য। সন্ত্রাসীদের আতঙ্কে সবকিছু যেন থেমে রয়েছে এখানে।
দুর্গম পাহাড়ের কোলে অবস্থিত বগালেকের পাশে স্থানীয় বম পাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের জীবিকার অন্যতম মাধ্যম পর্যটন খাত। পর্যটকরা লেকপাড়ে বেড়াতে এলে তাদের দোকানে যে বেচা-কেনা হয় তা দিয়ে সংসার চলে অধিকাংশ বাসিন্দার। এ পাড়ার অনেক বাসিন্দা নিজের ঘরের একটি বা দুটি কক্ষ পর্যটকদের কাছে ভাড়া দেন। কটেজ ভাড়া থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সংসার চালান কেউ কেউ। কিন্তু কেএনএফ সন্ত্রাসীদের আতঙ্কে পর্যটক না আসায় বম পাড়ার বাসিন্দারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাম্প্রতিক অতীতে তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে সুখী জীবনযাপন করতেন বান্দরবানের বাসিন্দারা। তাদের সম্প্রীতি ও শান্তিতে বসবাস বাকি দুই পার্বত্য জেলার মানুষের জন্য অনুকরণীয় ছিল। এ জেলার বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কৃষি ও পর্যটক-নির্ভর। এছাড়া প্রাকৃতিক নিসর্গের দিক থেকে এগিয়ে থাকায় বান্দরবানে পর্যটক আসার প্রবণতা অন্য দুই জেলার চেয়ে বরাবরই বেশি ছিল। শীত কিংবা বর্ষা– সবসময় পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকত জেলার নীলগিরি, থানচি ও বগালেকসহ সব পর্যটনকেন্দ্রে।
সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফের কারণে বান্দরবানের সেই পর্যটন খাতে কালো ছায়া পড়েছে। ভয়ে ও আতঙ্কে পর্যটকরা এখন আসতে চাইছেন না। এতে জেলার হোটেল ও রিসোর্ট মালিক থেকে শুরু করে প্রান্তিক পর্যায়ের জনগোষ্ঠী সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
গত বছরের ১৭ অক্টোবর কেএনএফের সন্ত্রাসী হামলার পর বিভিন্ন উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় স্থানীয় প্রশাসন। প্রায় ১০ মাস পর গত ১২ জুলাই সে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু কেএনএফের আতঙ্ক এখনও কাটেনি।
স্থানীয়দের কাছে জানা গেল, কেএনএফ এখনও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। বলছে, তাদের দাবি মেনে নেওয়া পর্যন্ত কেউ যেন পর্যটকদের নিয়ে কোনো স্পটে না যায়। তাদের দাবি মানার আগে কেউ পর্যটনকেন্দ্রে গেলে কোনো ধরনের ক্ষতি হলে এর দায় তারা নেবে না।
কেএনএফের লোগোতে প্রতিষ্ঠাকাল ২০০৮ লেখা থাকলেও ২০১৮ সালে সংগঠনটির সন্ত্রাসী কার্যক্রম সবার নজরে আসে। সর্বশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে সংগঠনটির সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ভয়াবহতা বাড়তে থাকে।
এরপর থেকে সংগঠনটির বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। সংগঠনটি পার্বত্য অঞ্চলের প্রায় অর্ধেক আয়তনের অঞ্চলকে নিয়ে বেআইনি ও মনগড়া মানচিত্র তৈরি করেছে। তাদের এ কল্পিত মানচিত্রের তিন পাশে রয়েছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্ত।
বান্দরবান পাহাড়ের বম, পাঙ্খুয়া, খুমি, ম্রো ও খিয়াং নামক ক্ষুদ্র ছয়টি জাতি-গোষ্ঠীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার