পুলিশের ব্রিফিং : যশোরের দুই খুনের রহস্য উন্মোচন

যশোরে শহর ও শহরতলীতে চাঞ্চল্যকর দুই খুনের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুুলিশ। একই সাথে হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত ও দুজনকে আটকসহ ব্যবহৃত ২টি চাকু ছুরি উদ্ধার হয়েছে। এঘটনায় রোববার দুপুর ১২ টায় জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ ও প্রশাসন মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন ব্রিফিং করেছেন। যশোর শহরে ছুরি চাকু ব্যবহারে আর যেনো অপরাধ সংঘটিত হতে না পারে সে ব্যাপারে জোরালো অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ছুরি চাকু বিকিকিনি দোকান ও অনলাইন সপগুলোর উপরও নজরদারি করা হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। 

৩১ মার্চ রাত ৯ টার দিকে পূর্ববারান্দী নাথপাড়া নদীর পাড়ের মাঠে ফেলে শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়ার রেজাউল ইসলাম বাচ্চুর ছেলে নাহিদকে গলায় পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে এলাকার উঠতি দুর্বৃত্ত চক্র। একই দিন রাতে যশোর সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া কামারপাড়ায় বড় ভাই ইউনুছকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ছোট ভাই ইউসুফ। ঘটনার পর থেকেই যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা ও থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। মাত্র দ্ইু দিনেই শনাক্ত হয়েছে খুনী ও সহযোগীরা। 

এব্যাপারে অতিরিক্ত সুপার বেলাল হোসাইন জানিয়েছেন, বারান্দীপাড়া এলাকার একটি মসজিদে ইফতার শেষে স্থানীয় ইব্রাহিম ও রাতুল আল হাসান নামে দুজনের মধ্যে সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে কথা কটাকাটি হয়। এসময় নাহিদ হাসান তার বন্ধু রাতুলের পক্ষ নেয়। এরপর তারাবি নামাজ শেষে  ইব্রাহিম তার চাচাতো ভাই জিসান উদ্দিন অন্তরকে ডেকে আনে। এরপর নতুন করে নাহিদের সাথে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়ে ইব্রাহিম ও তার চাচাতো ভাই অন্তর। ক্ষিপ্ত হয়ে নাহিদের গলায় ও পেটে চাকু মেরে হত্যা করে। এই অন্তরকে আটক করা হয়েছে। সে ওই এলাকার জসীম উদ্দিনের ছেলে। তার দেখিয়ে দেয়া স্থান বারান্দীপাড়া আজাহার উদ্দিন বাবুর জমি থেকে একটি বার্মিজ টিপ চাকু উদ্ধার হয়। 

এদিকে ঘুরুলিয়ায় ছোট ভাই ইউসুফের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই ইউনুছ খুন হওয়ার ঘটনায় আটক করা হয়েছে ছোট ভাইকে। একই পাড়ার এক নারীর শ্লীলতাহানী ঘটানোর প্রতিবাদ করায় ইউনুছকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ইউসুফ। ১ এপিল রাতে যশোর শহরের পুরাতন কসবা টালিখোলা থেকে আটক করা হয় ইউসুফকে। তার দেখি দেয়া স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি। দুটি ঘটনায়  ঘটনায় জড়িত সবাই শনাক্ত হয়েছে। সবাইকে একেএকে আইনের আওতায় আনা হবে।