- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
নড়াইল-২ : নড়াইল এক্সপ্রেসের দুর্বার গতি
- আপডেটেড: মঙ্গলবার ০৪ এপ্রিল ২০২৩
- / পঠিত : ৩৪২ বার
ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের অন্যতম শক্তিশালী দুর্গ নড়াইল-২ আসন। এই আসন নিয়ে আগামী নির্বাচনে অনেকটাই নির্ভার থাকবে আওয়ামী লীগ। কারণ, দেশে-বিদেশে ক্রিকেটের আইডল ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজা এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।
মাশরাফি বিন মর্তুজা রাজনীতিতে একেবারেই নতুন । তবে ব্যক্তি ইমেজে অপ্রতিরোধ্য। বিভিন্ন মানবিক ও উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছেন দুর্বার গতিতে। আগামী নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের একমাত্র নির্ভরতার জায়গা বলে মনে করা হচ্ছে।
আসনটিতে মাত্র একবার জয় পাওয়া বিএনপির সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় কোন্দল নিরসন। তবে দলের নেতারা বলছেন, দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেই কার্যক্রম চালাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। এখন তাঁদের মূল লক্ষ্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন চাঙা করা।
লোহাগড়া ও সদর উপজেলার দুটি পৌরসভা এবং ২১টি ইউনিয়ন নিয়ে নড়াইল-২। ১৯৯১ সালে এই আসনে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। পরের তিনটি নির্বাচনেও জয় ধরে রাখে দলটি। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন জোটসঙ্গী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী। আর সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের চমক দেখিয়ে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া মাশরাফি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এমপি হন।
আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন মাশরাফি। তাঁর মনোনয়ন পাওয়া প্রায় নিশ্চিত। তবে মনোনয়ন পেতে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও কৌশলে কার্যক্রম চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা। কমিশন নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করতেই মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন দলীয় দিবস ও ধর্মীয় উৎসবে বিলবোর্ড ও ব্যানার টাঙিয়ে দেশের উন্নয়ন এবং নিজেদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। কেন্দ্রে লবিং শুরু করেছেন।
মাশরাফি বাদে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে পারেন জেলা কমিটির সভাপতি সুভাষ বোস, সহসভাপতি আসিফুর রহমান বাপ্পী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন, নড়াইল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাদিবুর রহমান তাপস ও আওয়ামী লীগ নেতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ হাসান ইকবাল।
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও সহসভাপতি জুলফিকার আলী। ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি নজরুল ইসলাম ও জেলা জাসদের (আম্বিয়া গ্রুপ) নেতা অ্যাডভোকেট হৈমাতুল্লাহ হিরু।
আওয়ামী লীগে দলীয় কোন্দল নেই। নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় এখানে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাও দেখা যায় না। কেননা আসনটিতে মাশরাফি নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁর ওপর আস্থা রেখে আগের চেয়ে অনেক সুসংগঠিত হয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এবং মানুষকে সহযোগিতা করে সরকারের উন্নয়নের প্রচার চালাচ্ছেন সহসভাপতি আসিফুর রহমান বাপ্পী। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো গ্রুপিং নেই। মনোনয়ন যে কেউ চাইতে পারেন। নেত্রী যাঁকে মনোনয়ন দেবেন তাঁর হয়েই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ বোস বলেন, ‘দল যাঁকেই মনোনয়ন দেবে জনগণ আমাদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তাঁকে আবারও ভোট দেবেন। আমাদের কোনো গ্রুপিং নেই। তবে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতে পারে।’
কোন্দলসহ নানা কারণে ভোটের রাজনীতিতে পিছিয়ে বিএনপি। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও সহসভাপতি জুলফিকার আলীর পক্ষে বিভক্ত হয়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন নেতা-কর্মীরা। তবে দলের নেতারা বলছেন, দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেই দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এখন তাঁদের মূল লক্ষ্য আন্দোলন চাঙা করা। ক্লিন ইমেজের হেভিওয়েট প্রার্থী দিয়ে আওয়ামী লীগের দুর্গে হানা দিতে চান বিএনপি নেতারা।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নির্বাচন নিয়ে ভাবছি না। দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেই দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছি। সব সময় নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে বিএনপির।’ আর ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের এখনো দেরি। কেন্দ্রীয়ভাবে দল যেটা সিদ্ধান্ত নেবে, সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী চলব।’
সর্বোপরি এ আসনে উন্নয়ন আর সাংগঠনিক দিক দিয়ে আওয়ামী লীগ যতটা গোছালো ও শক্তিশালী, বিএনপি ততটা নয়। শুধু রাজনৈতিক দল নয়, ভোটের হিসাব-নিকাশ চলছে সাধারণ মানুষের মাঝেও। তাঁরা চাইছেন যোগ্য প্রার্থী, যিনি জনগণের পাশে থাকবেন। এমন ধারণা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার