আজঃ মঙ্গলবার ২৪-০৯-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

টম ল্যান্টোস কমিশনের আলোচনায় কোনো কংগ্রেস প্রতিনিধি ছিলেন না, পররাষ্ট্রমন্ত্রণাল‌য়

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: সোমবার ২১ Aug ২০২৩
  • / পঠিত : ৯৫ বার

টম ল্যান্টোস কমিশনের আলোচনায় কোনো কংগ্রেস প্রতিনিধি ছিলেন না, পররাষ্ট্রমন্ত্রণাল‌য়

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টম ল্যান্টোস হিউম্যান রাইটস কমিশন বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যে আলোচনা করেছে সেখানে কংগ্রেসের কো‌নো প্রতিনিধির না থাকার তথ্য জা‌নি‌য়ে‌ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রোববার (২০ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস নোটে এ তথ্য জা‌নি‌য়েছে।

প্রেস নো‌টে বলা হ‌য়ে‌ছে, টম ল্যান্টোস হিউম্যান রাইটস কমিশন থেকে  ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার: একটি আপডেট’ শীর্ষক গত ১৫ আগস্ট মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে সাম্প্রতিক কিছু গণমাধ্যমে প্রকা‌শিত প্রতিবেদন পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ের নজ‌রে এসে‌ছে। ত‌বে খোঁজ নি‌য়ে জানা গেছে, মার্কিন কংগ্রেস, হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ ( প্রতিনিধি পরিষদ), সিনেটে বা কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিক কমিটিতে এমন কোনো আলোচনা হয়নি।

২০২৩ কংগ্রেসনাল ক্যালেন্ডার অনুসারে কংগ্রেস (উভয় সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদ) ২৮ জুলাই থেকে অবকাশে রয়েছে। অবকাশের পর আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সিনেট অধিবেশন শুরু হবে। আর প্রতিনিধি পরিষদের অধিবেশন ১২ সেপ্টেম্বর পুনরায় আহ্বান করা হবে। বেশিরভাগ সিনেটর এবং কংগ্রেসম্যান অবকাশের সময় তাদের নির্বাচনী এলাকায় যান। গত ১৫ আগস্ট ‘টম ল্যান্টোস হিউম্যান রাইটস কমিশন’ থেকে জুমের মাধ্যমে একটি ভার্চুয়াল ব্রিফিং সেশনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেশনে চারটি প্রতিষ্ঠানের চারজন প্যানেলিস্ট লিখিত বক্তব্য পেশ করেছে।

প্রেস নোটে উল্লেখ করা হয়, প্যানেলিস্টদের কংগ্রেসের জন্য সুপারিশ দেওয়ার কথা ছিল। যদিও অনুষ্ঠানটি টম ল্যান্টোস কমিশনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। এখানে মার্কিন কংগ্রেসের কোনো সদস্য তাদের উপস্থিতি বা কোন বিবৃতি, মন্তব্য বা পর্যবেক্ষণ করেননি। আয়োজকরা বাংলাদেশ সরকার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের প্যানেলিস্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। যদিও নিবন্ধনের সময় ভার্চুয়াল উপস্থিতি অনুমোদিত ছিল।

প্যানেলিস্টদের মতামতের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও স্পষ্ট করার জন্য মডারেটরের কাছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন পাঠানো হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত সেগুলোকে আমলে নেওয়া হয়নি। তবে মডারেটর এবং প্যানেলিস্টরা তাদের পছন্দের প্রশ্নের উত্তর  দিয়েছেন। বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে যে, কয়েকজন প্যানেলিস্ট বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অপ্রমাণিত তথ্য দেওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করেছিলেন। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের প্রচেষ্টা করেছিলেন।

আর এই আয়োজন হয়েছিল ১৫ আগস্ট, বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবসে, যখন বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের ১৮ সদস্যের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে নিকৃষ্টভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছিল। কেন আলোচনার জন্য এই দিনটিকে বেছে নিলেন আয়োজকরা, তা বোঝা গেল না। সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বন্ধুদের বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে ভুল তথ্য প্রচারের যে কোনো ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। 

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba