- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
ডেসটিনির মতো শুয়ে-বসে আয়ের লোভ দেখিয়ে উধাও এমটিএফই
- আপডেটেড: মঙ্গলবার ২২ Aug ২০২৩
- / পঠিত : ১০৭ বার
: ডেসটিনি-২০০০, ইউনি পে টু ইউ-এর মতো প্রতারক এমএলএম কোম্পানির তালিকায় নাম লেখাল এমটিএফই নামের আরেক প্রতিষ্ঠান। অনলাইন ট্রেডিংয়ের নামে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে টাকা তোলার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে তারা।
ফলে অধিকাংশ বাংলাদেশির ওয়ালেটের ব্যালেন্সে ডলার থাকলেও সেই ডলার তারা তুলতে পারছেন না। শুক্রবার ও শনিবার অনেকের এমটিএফই ওয়ালেটের ব্যালেন্স ঋণাত্মক বা মাইনাস দেখানো হচ্ছে। অর্থনীতির ভাষায় প্রতিষ্ঠান লোকসান করায় গ্রাহকদের কাছ থেকে তারাই বরং টাকা পাবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে এমটিএফই-এর কত গ্রাহক আছে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেনি। তবে এমটিএফই-এর হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮ লাখ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তাদের অ্যাপে। শুধু বাংলাদেশ নয় দুবাই, ওমান, কাতার সৌদি আরবের মতো দেশগুলোতে কর্মরত বাংলাদেশিরাও এমটিএফইতে বিপুল পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করেছে। তবে বাংলাদেশে এদের কোনো অফিস নেই।
এমটিএফই কি?
এমটিএফই হচ্ছে মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ গ্রুপ নামে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি (যেমন- বিট কয়েন) ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে বিনিয়োগকারীদের উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলানো হয়। ক্রিপ্টো ট্রেডিং বাংলাদেশে নিষিদ্ধ।
এমটিএফইতে ক্রিপ্টো ট্রেডিং করে মুনাফা লাভের পাশাপাশি আরেকটি প্রলোভন দেখানো হয়। একজন গ্রাহক যদি নতুন কাউকে এখানে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করেন, তাহলে তিনি নতুন গ্রাহকের বিনিয়োগ থেকেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে অতিরিক্ত আয় করতে পারবেন। ডেসটিনির মতো এটিও একটি এমএলএম কোম্পানি।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে থাকলেও এমটিএফই নিজেদের কানাডিয়ান কোম্পানি দাবি করে, যার প্রতিষ্ঠাকাল ২০০৫ সালে। তবে বাংলাদেশে এ বছরের জানুয়ারি মাসে তাদের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে। এমটিএফই-এর বিরুদ্ধে কানাডিয়ান সিকিউরিটিজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস (সিএসএ)-এর কাছে প্রতারণার বেশ কয়েকটি অভিযোগও রয়েছে।
কিভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে এমটিএফই?
একজন নাগরিক এমটিএফই এবং বাইনান্স নামের একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে খুব সহজেই এমটিএফইতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারতেন। রেজিস্ট্রেশনের পর তাদের নিজস্ব ওয়ালেটে ট্রেডের জন্য ডলার রাখতে হতো। ডলারের পরিমাণ অনুযায়ী তাদের প্রতিনিয়ত লাভ দেওয়ার প্রলোভনও দেওয়া হতো।
বিজ্ঞাপনে এমটিএফই বলতো, কেউ যদি ২৬ থেকে ৬০ ডলার বিনিয়োগ করেন, সেক্ষেত্রে তিনি প্রতিদিন ০.৩৯ ডলার থেকে ০.৬০ মার্কিন ডলার লাভ করতে পারবেন। একইভাবে ৬১ থেকে ২০০ ডলার বিনিয়োগে প্রতিদিন ০.৯৮ ডলার থেকে ২.০৫ ডলারের লাভ, ২০১ থেকে ৫০০ ডলার বিনিয়োগে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫.০৯ ডলার পর্যন্ত লাভ, ৫০১ থেকে ৯০০ ডলার বিনিয়োগে প্রতিদিন ১০.৯৩ থেকে ১৪.৬৪ ডলার পর্যন্ত লাভ, ৯০১ থেকে ১৫০০ ডলার বিনিয়োগে ১৮-২৪.৪০ ডলার পর্যন্ত লাভ, ৩৫০১ থেকে ৫০০০ ডলার বিনিয়োগে ৮৫ থেকে ১২৫ ডলার পর্যন্ত এবং ৫০০১ ডলার থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত বিনিয়োগে প্রতিদিন ১১০ থেকে ১৬০ ডলার পর্যন্ত লাভ হতে পারে বলে লোভ দেখানো হয়।
কেউ যদি ডেসটিনির মতো তার বন্ধু বা পরিচিতদের বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করেন, তার লাভ আরও বাড়িয়ে দেয় এমটিএফই। তবে ওয়ালেটে লাভের টাকা থাকলেও নানা শর্তের কারণে সবসময় টাকা উত্তোলন করা যায় না, ইচ্ছেমতো অংকের টাকাও তোলা যায় না।
যে বার্তায় বুঝা গেল পালিয়েছে এমটিএফই
আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই বিভিন্ন গ্রুপে এমটিএফই-এর গ্রাহকরা অভিযোগ করছিলেন যে- তাদের অ্যাকাউন্টে ডলার থাকলেও তারা উত্তোলন করতে পারছেন না। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির কোনো কাস্টমার কেয়ার নেই বা যোগাযোগের মতো কোনো অফিস নেই। তাই সবাই এ বিষয়ে ফেসবুকে লেখালেখি শুরু করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে অনেকের ওয়ালেটের ডলারের পরিমাণ শূন্য এবং ঋণাত্মক হয়ে যায়। তখন তারা বুঝতে পারেন যে তারা প্রতারিত হয়েছেন।
শুক্রবার এবং শনিবার গ্রাহকদের এ বিষয়ে ব্যাখ্যাও দেয় এমটিএফই। অ্যাপে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে এমটিএফই গ্রাহকদের জানায়, এমটিএফই একটি ব্রোকার প্রতিষ্ঠান। গ্রাহকদের বিনিয়োগ করা ডলার দিয়ে ট্রেডিং করতে সহায়তা করে। প্রতিষ্ঠানটি লোকসান করেছে, তাই সবার ব্যালেন্স ঋণাত্মক বা মাইনাসে চলে গেছে। বিনিয়োগকারীদের এর দায়ভার নিতে হবে। তাই প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে নিজ নিজ লোকসানের অংক দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি এ পরিমাণ ডলার পরিশোধ করা না হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার