- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
নেত্রকোনার সংসদ সদস্যকে অপহরণ করে বিয়ে!
- আপডেটেড: মঙ্গলবার ২৯ Aug ২০২৩
- / পঠিত : ১৯৮ বার
: নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালকে (৭৫) অপহরণের পর বিয়ে করার অভিযোগে কলেজছাত্রী নাদিয়া আক্তার (২৬) সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত বুধবার (২৩ আগস্ট) রাতে তার স্ত্রী রওশন হোসেন বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় এমপির স্বাক্ষর জাল করে স্ত্রী রওশন হোসেনকে তালাক ও টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে পূর্বধলা থানায় মামলাটি দায়ের হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নাদিয়ার ছোট ভাই পূর্বধলা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাইফ (২০), পূর্বধলা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলায়মান হোসেন, সংসদ সদস্যের পিএস ফেরদৌস আলম (৪২), কামারুজ্জামান উজ্জ্বল (৪২), দুই কলেজশিক্ষক নাদেরুজ্জামান স্বপন (৪২), রতন পাল (৩২), ছাত্রলীগ কর্মী শাহ আলীম (৩২) ও সংসদ সদস্যের গাড়িচালক শফিকুল ইসলাম (৪৫)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা বিভিন্ন সময় এমপি ওয়ারেসাত হোসেনের কাজকর্ম দেখাশোনা করতেন। সেই সুবাদে তার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। তারা নানাভাবে ওয়ারেসাতকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিতে থাকেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালতে তার কাজ দেখভালের মৌখিক দায়িত্ব দেয়ার পর ফেরদৌস আলম ও কামারুজ্জামান উজ্জ্বল সংসদ সদস্যের নাম ভাঙিয়ে প্রচুর টাকা আত্মসাৎ করেন। অন্য আসামিরা গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওয়ারেসাতকে ভুল বুঝিয়ে তার গ্রামের বাড়ি কাজলা থেকে গাড়িতে করে ঢাকায় নিয়ে যান। সেখানে সংসদ সদস্যের নিজের বাসা উত্তরায় না নিয়ে ধানমন্ডি এলাকায় একটি বাসায় তাকে আটকে রাখা হয়। পরে গাড়িচালক সংসদ সদস্যের পরিবারকে জানান, ওয়ারেসাত হোসেন বিদেশে চলে গেছেন।
মামলায় বাদী আরও উল্লেখ করেন, তার স্বামী ওয়ারেসাতকে জিম্মি করে স্বাক্ষর জাল করে নাদিয়া আক্তারের সঙ্গে বিয়ের একটি ভুয়া কাবিননামা তৈরি করা হয়। এরপর স্বাক্ষর জাল করে স্ত্রী রওশন হোসেনকে তালাক দেয়া হয়। তেমন একটি কাগজ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেয়া হয়। গত ২৭ মার্চ বিকেলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে ঢাকার একটি বাসা থেকে সংসদ সদস্যকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরদিন চিকিৎসার জন্য ওয়ারেসাতকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মেয়ের বাসায় রেখে চিকিৎসা শেষে ১১ আগস্ট দেশে আনা হয়। এরপর এ ঘটনায় বুধবার রাতে মামলা করেন ওয়ারেসাতের স্ত্রী রওশন। মামলায় ওয়ারেসাতসহ আটজনকে সাক্ষী করা হয়।
তবে মামলার প্রধান আসামি নাদিয়া আক্তার বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অপহরণ, স্বাক্ষর জালের বিষয়টি আমি মামলা হওয়ার পর সাংবাদিকসহ অন্য মানুষের কাছ থেকে জানলাম। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও হাস্যকর।
মামলার বিষয়ে অভিযুক্ত সংসদ সদস্যের এপিএস ফেরদৌস আলম বলেন, আমাদের নামে করা মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। একজন সংসদ সদস্যকে অপহরণ করলে দেশজুড়ে আন্দোলন হয়ে যেত। কেন যে এমন ঘটনা সাজিয়ে মামলা করা হলো, তা বুঝতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, আমাকে ও কামরুজ্জামান উজ্জ্বলকে গত ১৪ মার্চ পূর্বধলায় কতিপয় সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে মারাত্মক আহত করে। এখনও আমি ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি আছি। এ ব্যাপারে আমি একটি মামলা করেছিলাম। সেই মামলাকে নস্যাৎ করার জন্য আবার নতুন অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে তার স্ত্রী রওশন হোসেন বলেন, ‘আমাদের পারিবারিক, রাজনৈতিকভাবে হেয় করা এবং অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য অভিযুক্তরা এহেন ঘৃণ্য কাজ করছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও নিউজ পোর্টালগুলো মূল তথ্য না জেনে যেন অপপ্রচারে লিপ্ত না হয় মিডিয়ার কাছে এ অনুরোধ জানান তিনি।
এ ব্যাপারে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, মামলায় অপহরণ ও বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে জাল কাবিননামা ও জাল তালাকনামা তৈরির কথা বলা হয়েছে। মামলার বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। খেতাবের সনদ নম্বর ৪১০। গেজেটে নাম ওয়ারেসাত হোসেন। তার বাবার নাম মহিউদ্দিন তালুকদার এবং মায়ের নাম আশরাফুন নেছা। তার স্ত্রীর নাম রওশন হোসেন। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে।
১৯৭১ সালে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি মাকে চিঠি লিখে কাউকে না জানিয়ে ভারতে চলে যান। তুরায় প্রশিক্ষণ নেন এবং প্রশিক্ষণ শেষে ১১ নম্বর সেক্টরের ঢালু ও মহেন্দ্রগঞ্জ সাব-সেক্টরে যুদ্ধ করেন। বড় ভাই কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে একাধিক অপারশনেও অংশ নেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল দীর্ঘ ২০ বছর ধরে পূর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি টানা তিনবারের সংসদ সদস্য।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার