তাপপ্রবাহের কবলে ফের ১৪ জেলা

: বর্ষা মৌসুম বিদায় নেওয়ার পর শরতের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত ছিল। বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু দুর্বল হওয়ার প্রেক্ষিতে ফের তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে তিন অঞ্চলের ১৪ জেলা। গত ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের ৪৪টি স্টেশনের মধ্যে মাত্র ১৪টিতে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। অপরদিকে আগামী সপ্তাহে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া পরিস্থিতিতে পালাবদল চলছে। ভাদ্রের ১৪ দিন পার হওয়ার পর বুধবার (৩০ আগস্ট) থেকে আবারও তাপপ্রবাহ বইছে ১৪ জেলায়। মধ্যাঞ্চলের ফরিদপুর, উত্তরাঞ্চলের পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নীলফামারী এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের ১০ জেলা মিলে ১৪ জেলায় বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ। এসব জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। 

এদিকে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা-ঈশ্বরদীতে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে বাতাসের গতি হচ্ছে দক্ষিণ দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার।

আগামী রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টার শেষ দিকে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আবার বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১৪টি স্টেশনে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে খেপুপাড়ায় ৬৩ মিলিমিটার।

এছাড়া পার্বত্য বান্দরবানে ৪৭, চট্টগ্রামে ৪৬, নীলফামারীর ডিমলায় ১৭, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৮, পার্বত্য রাঙ্গামাটিতে ৫, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৪, সন্দ্বীপ-সীতাকুণ্ড-কুতুবদিয়ায় ২, ঢাকা-বরিশাল-কক্সবাজারে ১ মিলিমিটার এবং পটুয়াখালীতে সামান্য বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।