আজঃ রবিবার ২৪-১১-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ, থানায় জিডি

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: রবিবার ০৩ Sep ২০২৩
  • / পঠিত : ২১২ বার

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ, থানায় জিডি

: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল কাইউমের ছবি সুপার এডিটের মাধ্যমে পর্ন তৈরি করে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ উঠেছে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে। ইসলামী ব্যাংক পাবনার সাথিয়া শাখার একটি হিসেব নম্বরে ৫ লাখ টাকা না দিলে সুপার এডিটেড ওই পর্ন সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুকমিও দিয়েছে তারা। এ ঘটনায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন আবদুল কাইউম। 

গত ২৮ আগস্ট কোতয়ালী থানায় দায়েরকৃত সাধারণ ডায়রিতে ড. আবদুল কাইউম উল্লেখ করেন, গত ২৭ আগস্ট রাত পৌনে ১২টার দিকে +৬১৪৮৮৭৬১৮৯ (অস্ট্রেলিয়ান নম্বর) থেকে তার নিজের ব্যবহৃত ০১৭১৭৬৩২৮৪৪ নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা অ্যাপসের মাধ্যমে কাইউমের পর্ন ভিডিও তৈরি করে পাঠায়। এরপর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে অনবরত ফোন করে এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠায়। কাইউম তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা পরিচয় প্রকাশ না করে তাকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করে এবং সুপার এডিটের মাধ্যমে তৈরি করা পর্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। 

এদিকে প্রতারকরা ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে না দেয়ার শর্তে কাইউমের কাছে প্রথমে ৭ লাখ এবং পরে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। এক পর্যায়ে তারা পাবনার সাথিয়া শাখা ইসলামী ব্যাংকের তিলক চন্দ্র কর্মকারের নামে ১২৫৭৬২০৫২ নম্বরে ৫ লাখ টাকা পাঠাতে বলে। ব্ল্যাকমেইলের বিষয়টি বুঝতে পেরে কাইউম গত ২৮ আগস্ট কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। 
অজ্ঞাতনামা প্রতারকদের ভয়ভীতি এবং হুমকিতে বর্তমানে কাইউম ভীত সন্ত্রস্ত জীবনযাপন করছেন বলে সাধারণ ডায়রিতে উল্লেখ করা হয়। এ অবস্থায় প্রতারকরা সুপার এডিটেড পর্ন ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে ছড়িয়ে দিয়ে সামাজিক এবং পেশাগত সন্মানহানী করতে পারে সাধারণ ডায়রিতে আশংকা করেন কাইউম। এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশের প্রতি অনুরোধ করা হয় জিডিতে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. আবদুল কাইউম বলেন, সুপার এডিটের মাধ্যমে পর্ন ছবি তৈরি করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে প্রতারক চক্র তার কাছে অর্থ দাবি করছে। এ ঘটনায় সাইবার ট্রাইব্যুনাল এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। 

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিন) ফজলুল করিম বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল কাইউমের হোয়াটসঅ্যাপে কে বা কারা পর্নো ছবি পাঠিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ দাবি করেছে। তারা পাবনার সাথিয়ার ইসলামী ব্যাংকের একটি ব্যাংকের একটি হিসেব নম্বর পাঠিয়েছেন অর্থ আদায়ের জন্য। এ ঘটনায় আবদুল কাইউম কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। 

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba