- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
বিসিএস পুলিশে ক্যাডার-নন ক্যাডারে বৈষম্যের জট খুলছে
- আপডেটেড: মঙ্গলবার ১৯ Sep ২০২৩
- / পঠিত : ৬৩ বার
: সুপার নিউমারি পদে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মতোই ননক্যাডারদের পদোন্নতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডিএমপির ৫০ থানার ওসি (ইন্সপেক্টর)।
সোমবার ( ১৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে দাবি-দাওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন ৫০ থানার ইন্সপেক্টর। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করেন পুলিশ সদর দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের দাবিগুলো উত্থাপনসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগীতা করা হবে।
সোমবার ‘দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকায়’ ক্যাডার-ননক্যাডার বৈষম্য সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে তোলপারের সৃষ্টি হয়।
এরপর সোমবার সকালে তাৎক্ষণিক এক বৈঠক করেন ডিএমপি’র ৫০ থানার ওসি ও আশপাশের জেলা ওসিরা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কনফারেন্স রুমে এই বৈঠক হয়।
এদিকে বৈঠকের সিদ্ধান্তে পদোন্নতির দাবি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় রাত ১০ টায় যাবার কথা থাকলেও এরপর তাৎক্ষণিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে ডাকা হয় ৫০ থানার পরিদর্শকদের।
সোমবার বিকাল ৪ টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করেন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলো ছিল, পুলিশ পরিদর্শকদের ১০ বছর পূর্তিতে ৬ষ্ট গ্রেড প্রাপ্ত। ১০ বছর পূর্তিতে ব্যাজ থেকে সয়ংক্রিয়ভাবে গ্রেড পরিবর্তন করা। ১০ বছরের মধ্যে পদোন্নতি না হলে সুপারনিউমারি পদে পদোন্নতি দেওয়া। সাব-ইন্সপেক্টরদের (এসআই) ক্ষেত্রেও একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এসআই/সার্জেন্ট পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হওয়া স্বত্ত্বেও তাদের র্যাংক ব্যাজের নীল/লাল ফিতা তুলে নেওয়া।
এছাড়াও এসআই এবং ইন্সপেক্টর র্যাংক ব্যাজ উন্নীত করার বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ইচ্ছাকৃত ভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এক্ষেত্রে সময় বেঁধে দিয়ে বিষয়টি দ্রুত নিস্পত্তি করা। কনস্টেবলদের বিভাগীয় পরীক্ষায় একবার পাশ করলে সেখান থেকে প্রমোশন লিষ্ট (পিএল) করে ক্রমান্বয়ে পদোন্নতি দেওয়া।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সময়ের আলোকে বলেন, উনারা আমার কাছে আসছিলেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা পদোন্নতিসহ আরও বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে এসেছেন। ওই বিষয়গুলো উপরে আমরা পুলিশ সদর দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আশা করছি শিগগিরই পদোন্নতির জট খুলবে।
বৈঠক থাকা একজন পরিদর্শক সময়ের আলোকে বলেন, সরাসরি মাঠ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা পুলিশের নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা বা সদস্যদের যথাসময়ে হচ্ছে পদোন্নতি না হওয়ায় প্রতিনিয়তই মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্ব ও বিরোধের সৃষ্টি হচ্ছে বিসিএস পুলিশ ক্যাডার ও নন-ক্যাডারদের মধ্যে। দীর্ঘদিনেও পদোন্নতি না হওয়ায় এই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার একাধিক পুলিশ পরিদর্শকরা অভিযোগ করেন, নির্বাচন সামনে আসলেই মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের দিয়ে সকল কার্যক্রম করানো হয়। নির্বাচন শেষ হলে তাদের বদলি করা হয় অন্য জেলায়। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পদোন্নতির আশ্বাস দিয়ে কয়দিন পরেই সব ভুলে যায় সিনিয়ররা। ডিএমপির গুরুত্বপূর্ণ থানায় রেখেদেন বিশেষ কয়েকজনকে। বাকিরা হাজারো দৌড়ঝাপ করলে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন জেলায় বা ইউনিটে।
পরিদর্শকদের দাবি, সরকার পদোন্নতি জটিলতা নিরসনে পুলিশ সুপার (এসপি) ও উপ-মহাপরিদর্শকদের (ডিআইজি) জন্য সুপার নিউমারি পদের ব্যবস্থা করছে। কিন্তু সেখানে সেই সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) ও সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্টরা। সম্প্রতি এই পদ সৃষ্টি হয় ৫৫২ জন। পত্রপত্রিকায় বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর ৫২ জনকে উচ্চ পর্যায়ে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। বাকি যে ৫০০ পদ রয়েছে সেখান থেকে পরিদর্শকদের কোটা অনুযায়ী দিলেই সবাই সন্তুষ্ট।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহীদুল হক সময়ের আলোকে বলেন, পরিদর্শক পদ জটিলতা নিরসনের যে দাবিগুলো করা হয়েছে সেটি যৌক্তিক। একই পতে ২০/২৫ বছর থাকা অমানবিক। উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিন্ম পর্যায়ের সদস্যদেরও পদোন্নতির বিষয়টি দেখা উচিত।
তিনি বলেন, সরকার চাইলে পদ সৃষ্টি করে পরিদর্শকদের জন্য পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে পারেন। আমি যখন দায়িত্বে ছিলাম, তখন বিভিন্ন পলিসির মাধ্যমে নতুন পদ সৃষ্টি করে অনেকটা পদোন্নতি নিরসন করেছি। সংকট নিরসনে এখনো অনেক পলিসি আছে। সেগুলো বাস্তবায়ন করা হলে সহযেই মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের পদোন্নতি সংকট নিরসন হবে।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার