- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
শিখ নেতা হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে: ট্রুডো
- আপডেটেড: শনিবার ২৩ Sep ২০২৩
- / পঠিত : ৬৯ বার
: কানাডার শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার ঘটনায় ভারত সরকারের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এই ঘটনায় উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে ব্যাপকভাবে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ট্রুডো আবারও ভারতের বিরুদ্ধে তার অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেছেন। তিনি বলেছেন, শিখ নেতাকে হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। তবে সেই প্রমাণ সামনে হাজিরের বিষয়ে সরাসরি উত্তর দেননি তিনি।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, কানাডার মাটিতে একজন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার পেছনে ভারতীয় এজেন্টরা জড়িত থাকতে পারে বলে বিশ্বাস করার মতো ‘বিশ্বাসযোগ্য কারণ’ রয়েছে।
এর আগে গত সোমবার তিনি ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম এই অভিযোগ তোলেন। ভারত এ অভিযোগ ‘দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান’ করেছে এবং এই ধরনের অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ বলেও অভিহিত করেছে।
গত সোমবার কানাডার হাউস অব কমন্সের সভায় প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা শিখ নেতা নিজ্জারের হত্যার সাথে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে।
সেসময় তিনি আরও বলেন, ‘কানাডার গভীর উদ্বেগের কথা ভারত সরকারের শীর্ষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহে জি টুয়েন্টি সম্মেলনের মধ্যে বিষয়টি আমি ব্যক্তিগতভাবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছি।’
বিবিসি বলছে, ট্রুডোর পক্ষ থেকে এই অভিযোগ সামনে আসার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি ট্রুডোর এই অভিযোগ ভারত ও কানাডার মধ্যে কুৎসিত কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছে, যদিও এই দুটি দেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ভালো বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে।
উত্তেজনার একপর্যায়ে উভয় দেশ একে অপরের একজন করে কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে এবং বৃহস্পতিবার থেকে কানাডিয়ান নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে ভারত। এছাড়া কানাডা ভারতে তার কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে এনেছে এবং বলেছে, কানাডিয়ান কিছু কূটনীতিক সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি পেয়েছেন।
এত সব ঘটনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন এবং সেখানে তার আগের অভিযোগুলোরই পুনরাবৃত্তি করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত সোমবার যেমনটা আমি বলেছি, ভারত সরকারের এজেন্টরা কানাডার মাটিতে একজন কানাডিয়ানকে হত্যার সাথে জড়িত ছিল বলে বিশ্বাস করার বিশ্বাসযোগ্য কারণ রয়েছে।’
তিনি বলেন, এটি করার মাধ্যমে, শৃঙ্খলাভিত্তিক যে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় আমরা বিশ্বাস করি, তার পক্ষে আমাদের দেশ দাঁড়িয়েছে।
শিখ নেতা হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার বিষয়ে কানাডার হাতে থাকা প্রমাণগুলো ‘কতটা বিস্তৃত এবং দৃঢ়’ তা জিজ্ঞাসা করা হলে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো সরাসরি কোনও উত্তর দেননি। তবে তিনি বলেন, কানাডার শক্তিশালী এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা রয়েছে এবং আমরা বিচার প্রক্রিয়াগুলোকে পরম সততার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিই।
ভারতের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ‘অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে’ প্রকাশ্যে আনা হয়েছে বলেও জানান কানাডার এই প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই অভিযোগগুলো মেনে নিয়েছেন বা অস্বীকার করেছেন কি না জানতে চাইলে ট্রুডো বলেন, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার ‘সরাসরি ও খোলামেলা কথোপকথন’ হয়েছে, ‘যেখানে আমি আমার উদ্বেগগুলো তাকে জানিয়ে দিয়েছি’।
জাস্টিন ট্রুডো চলতি মাসের শুরুতে জি-২০ জোটের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য ভারত সফর করেন এবং সেখানে মোদির সাথে তার উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠক হয়েছিল। ভারত সেসময় এক কঠোর বিবৃতি জারি করে জানায়, ‘কানাডায় চরমপন্থিদের ভারতবিরোধী কার্যকলাপ অব্যাহত রাখার বিষয়ে তারা উদ্বেগ জানিয়েছে এবং ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ প্রচার এবং ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার’ অভিযোগ করেছে।
এদিকে কানাডার শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার বিষয়ে কানাডার অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার