- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
দুর্নীতি ও অর্থবাণিজ্যের মাধমে যশোর যবিপ্রবির নিয়োগ
- আপডেটেড: বৃহস্পতিবার ০৫ Oct ২০২৩
- / পঠিত : ১৯৪ বার
দুর্নীতি ও অর্থবাণিজ্যের মাধমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বলে
অভিযোগ উঠেছে।
একই সাথে অভিযোগ পাওয়া গেছে, অর্গানোগ্রাম
(টিওঅ্যান্ডই) অনুমোদন ছাড়াই একের পর এক কর্মকর্তা-
কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
অভিযোগকারীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত
অর্গানোগ্রাম সুপারিশসহ ফেরত পাঠিয়েছে শিক্ষা
মন্ত্রণালয়। তবে তা সংশোধন না করেই অনুমোদিত বলে প্রচার
করছে কর্তৃপক্ষ। পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে নিয়োগ
বিজ্ঞপ্তিতেও অনিয়ম করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, যবিপ্রবির আগের অনুমোদিত
অর্গানোগ্রাম ২০১৯-২০ অর্থবছরে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে।
এরপর যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ নতুন প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম
অনুমোদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি)
জমা দেয়। ইউজিসি বিষয়টি পর্যালোচনা করে সুপারিশসহ
প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগে পাঠায়। এরপর প্রস্তাবিত সংশোধিত
অর্গানোগ্রামটি উপাচার্য বরাবর ফেরত পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব
রোখছানা বেগম স্বাক্ষর করা পত্রে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত
সংশোধিত অর্গানোগ্রামটি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১ এর ৪(জ) ধারা মোতাবেক
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে ফেরত প্রদান
করা হলো।
সূত্র জানিয়েছে, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন,
২০০১ এর ৪(জ) ধারায় বলা হয়েছে, মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক
নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে ও সরকার কর্তৃক বাজেট বরাদ্দ সাপেক্ষে
বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী
অধ্যাপক, প্রভাষক ও সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ও ইমেরিটাস
অধ্যাপক পদে এবং প্রয়োজনীয় অন্য কোনো গবেষণা ও শিক্ষকের
পদ সৃষ্টি করা, সংশ্লিষ্ট বাছাই বোর্ড কর্তৃক সুপারিশকৃত
ব্যক্তিদের সেসব পদে নিয়োগ প্রদান করা।
সূত্রের দাবি, এ ধারায় শিক্ষক-গবেষকদের নিয়োগের কথা বলা
হয়েছে। ফলে অর্গানোগ্রাম অনুমোদন ছাড়া কর্মকর্তা-
কর্মচারী পদে নিয়োগ প্রদানের সুযোগ নেই। কিন্তু
যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ একের পর এক কর্মকর্তা-কর্মচারী
নিয়োগ দিয়ে চলেছে।
গত ২২ আগস্ট ‘ল অফিসার’ হিসেবে একজনকে নিয়োগ
দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও যোগদানপত্র
অনুযায়ী তাকে সহকারী রেজিস্ট্রার (লিগ্যাল) পদের বিপরীতে
অস্থায়ী নিয়োগ দেখানো হয়েছে। এরআগে যবিপ্রবির
ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন বিভাগের প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে
উচ্চ মাধ্যমিকের যোগ্যতাকে শিথিল করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি
অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিকে ন্যূনতম ‘এ’ গ্রেড বা প্রথম
বিভাগ থাকার কথা। সেখানে আন্তর্জাতিক ট্রেনিংকে
যোগ্যতা গণ্য করে উচ্চ মাধ্যমিকে ছাড় দেয়া হয়েছে।
অভিযোগকারীদের দাবি, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী
যোগ্যপ্রার্থী বাছাই করা হয়নি, বরং মনোনীত প্রার্থীর
যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া লিফটের জন্য ১৪টি লিফট অপারেটর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি
দিয়ে ১১ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে যে ১৪টি
লিফটের কথা বলা হয়েছে তার ছয়টি এখনো স্থাপনই করা হয়নি।
তারামন বিবি হল ও মুন্সী মেহেরুল্লাহ হল চালু না হলেও সেকশন
অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত এ দুই
কর্মকর্তার মধ্যে একজন যবিপ্রবির এক শীর্ষ কর্মকর্তার
ভাইপো।
সূত্র আরো জানায়, যবিপ্রবিতে এরআগেও একাধিক নিয়োগ
নিয়ে বিতর্ক ও অভিযোগ রয়েছে। অবৈধভাবে নিয়োগের
মাধ্যমে ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে
গত ২১ আগস্ট প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, পূর্ত
দফতরের উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফসহ
তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১৮ সালে পিএ পদে মনজুরুর রহমান নামের একজনকে চূড়ান্ত
নিয়োগ দেয় রিজেন্ট বোর্ড। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই
তাকে যোগদান করতে না দিয়ে পরবর্তী রিজেন্ট বোর্ডে তার
নিয়োগ বাতিল করা হয়। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা
করলে বিষয়টি এখনো ঝুলে রয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আহসান হাবীব
কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন,
অর্গানোগ্রামে সব পদের বিষয়ে উল্লেখ থাকে না। রিজেন্ট
বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়া
হয়েছে।
তিনি আরো দাবি করেন, তিনি যোগদান করার পর
বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে।
এ কারণে রাজনীতিকরা সবসময় পেছনে লেগে থাকেন, কীভাবে
বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা অঘটন ঘটাবেন। তারাই এ ধরনের
অভিযোগ-অপপ্রচার করছেন। আগের নিয়োগের বিষয়ে সাবেক
উপাচার্য ভালো বলতে পারবেন।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার