আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯-০৯-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

খুলনায় কাঁচামরিচ, বেগুনের পর এবার পেঁয়াজে সেঞ্চুরি

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: রবিবার ০৮ Oct ২০২৩
  • / পঠিত : ১৬৬ বার

খুলনায় কাঁচামরিচ, বেগুনের পর এবার পেঁয়াজে সেঞ্চুরি

ডেস্ক: কাঁচামরিচ, বেগুনের পর এবার সেঞ্চুরি করলো পেঁয়াজ। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে আরও পাঁচ টাকা বেড়ে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। খুচরা ব্যবসায়ীরা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। তাদের দাবি, পাইকারি পর্যায়ে তিন-চার দিন ধরে দাম বেড়েছে। গত ১৯ আগস্ট পেঁয়াজ রফতানির ওপর ভারত সরকারের ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের খবরে হু হু করে দাম বাড়ে এই নিত্যপণ্যের। অস্বাভাবিক দর বেড়ে শতক ছুঁয়েছিল দেশি পেঁয়াজ। 

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, এক বছরের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১১৩ শতাংশ, আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১১৪ শতাংশ।

খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি আলু ৫০ টাকা, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

গত দুইদিন আগেও প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতিহালি ৫২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সরকার সতের দিন আগে ঘোষণা দিয়েছে প্রতিকেজি আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা ও প্রতিহালি ডিম ৪৮ টাকা দরে বিক্রি করার। অথচ এ পণ্য তিনটির মূল্য নির্ধারণ করলেও এখনো দাম কমেনি। 
এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোজ্য সয়াবিনের দাম রয়েছে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে ভোজ্য সয়াবিন ফ্রেশ (৫ লিটার) ৮৫০ টাকা, তীর (৫ লিটার) ৮৫০ টাকা, বসুন্ধরা (৫ লিটার) ৮৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। 

বেড়ে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় রসুনের মূল্য।

নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি রসুন ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দুই মাস আগেও প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে। কমছে না ব্রয়লার মুরগির দামও। নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা দরে। ব্রয়লার মুরগির মূল্য অস্বাভাবিক হওয়ায় বিপাকে সীমিত আয়ের মানুষ। কমছে না গরুর গোশতের মূল্য। প্রতিকেজি গরুর গোশ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে। যা নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে কেনা খুব কষ্টকর। 

বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মসুর ডাল (সরু) ১৪০ টাকা, মসুর ডাল (মোটা) ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। 

বাজারে ৫০ টাকার নিচে মিলছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজি। নগরীর এ্যাপ্রোচ রোডস্থ কেসিসি সুপার মার্কেট, নতুন বাজার ও ময়লাপোতা কেসিসি সন্ধ্যা বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ১০০টাকা, উচ্ছে ৫০, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাকরল ৫০ টাকা, রসুন ২৪০ টাকা, ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। 

ময়লাপোতা কেসিসি সন্ধ্যা বাজারের ব্যবসায়ী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সব ধরনের সবজির দাম একটু বাড়তি। দাম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি তেমন কোনো জবাব দিতে পারেননি। আরেক ব্যবসায়ী কাওসার আলী বলেন, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। 

নগরীর ময়লাপোতা কেসিসি সন্ধ্যা বাজারে আসা ক্রেতা কলেজ শিক্ষক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সরকার আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বারবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একাধিক ব্যবসায়ির জরিমানা করলেও বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba