আজঃ শুক্রবার ২২-১১-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

যশোরে উদ্ধার মরদেহ অবসারপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ময়মুর হোসেনের

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: বুধবার ১১ Oct ২০২৩
  • / পঠিত : ১১৬ বার

যশোরে উদ্ধার মরদেহ অবসারপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ময়মুর হোসেনের

যশোরে মহাসড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ অবসারপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক এস এম ময়মুর হোসেনের । বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যশোর-মাগুরা সড়কের বালিয়াডাঙ্গা এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এরআগে ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে তিনি বাড়ি থেকে পাওনা টাকা আনতে বের হন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে পাচবাড়িয়ায় একটি ছোট্ট ডোবায় মাছ ধরতে যেয়ে জেলেরা ময়মুরের লাশের সন্ধান পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে অজ্ঞাত হিসেবে লাশটি উদ্ধার করে। পরবর্তিতে ডিবির অনুসন্ধানে উঠে আসে অজ্ঞাত মরদেহটি ময়মুরের। তিনি যশোর শহরের বকচর প্রাইমারী স্কুলের পাশের জনৈক মিজানুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
নিহতের স্বজনেরা জানায়, যশোর বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরায় পাওনা টাকা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন এস এম ময়মুর হোসেন ।

স্ত্রী শিরিনা খাতুনের অভিযোগ, পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে তার স্বামীকে গুম করে রেখেছিলেন হাসান আলী বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি কোতয়ালি থানায় একটি জিডিও করেছিলেন।

তিনি আরও জানান,অভিযুক্ত হাসান আলী বিশ্বাস তাদের পূর্ব পরিচিত। ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ভালো ভালো বেতনের চাকরি দেওয়ার কথা বলে তার স্বামী ময়মুর হোসেনের কাছ থেকে ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন হাসান আলী বিশ্বাস। কিন্তু চাকরি দিতে ব্যর্থ হলে হাসান আলী বিশ্বাসের কাছে টাকা ফেরত চাওয়া হয়। চলতি বছরের ১০ মে ময়মুর হোসনকে রুপালী ব্যাংক খাজুরা শাখার একটি চেক দেন হাসান আলী বিশ্বাস। এরপর গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে হাসান আলী বিশ্বাস তার ০১৯২৫-২৮৫৬৫৬ নম্বরের মোবাইল ফোন থেকে ময়মুর হোসেনের ০১৯১৭-৯৩৯৩৭৭ নম্বরে কল দিয়ে তাকে পাওনা টাকা আনার জন্য খাজুরা যেতে বলেন।

এ কারণে পরদিন ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টার দিকে হাসান আলী বিশ্বাসের বাড়িতে যান ময়মুর হোসেন। সেখানে যাওয়ার পর ময়মুর হোসেন তার আরেকটি মোবাইল ফোন নম্বর ০১৪০১-৩৮২৮৮৫ দিয়ে স্ত্রী কে কল দিয়ে খাজুরায় হাসান আলী বিশ্বাসের বাড়িতে পৌঁছিয়েছেন বলে জানান। সর্বশেষ রাত ৯ টা ৪৯ মিনিটে স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয় শিরিনা খাতুনের। এরপর থেকে ময়মুর হোসেনের মোবাইল ফোন হয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রথমে তিনি কোতয়ালি থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দেন। নিহতের স্বজনের দাবি পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে তাকে গুম ও খুন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, হত্যা করা হয়েছে কিনা সেটা স্পষ্ট না। পোস্ট মোর্টেম রিপোর্টের পরই বলা যাবে। তিনি আরও বলেন, হাসান আলীকে অভিযুক্ত করা হচ্ছিলো। আগেই তাকে পুলিশ ও পিবিআই বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু তার কাছথেকে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া নিহতের শরীরে আঘাতেরও কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফলে এখনি কিছু বলা যাচ্ছেনা।


ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba