আজঃ সোমবার ২৫-১১-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

বিএনপি পরিকল্পিতভাবে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: সোমবার ৩০ Oct ২০২৩
  • / পঠিত : ৯১ বার

বিএনপি পরিকল্পিতভাবে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি পরিকল্পিতভাবে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সংঘবদ্ধভাবে এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। ২০১৫ সালের মতো এই নৃশংস ঘটনা ঘটানোর জন্য এগুলো একের পর এক করে যাচ্ছে।


গতকাল শনিবার বিএনপির সমাবেশ ও রোববারের হরতালকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, পুলিশ সদস্য নিহত, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সংসদে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। 

বিএনপি একটি অসাংবিধানিক সাবজেক্ট নিয়ে জনসমাগম করেছে অভিযোগ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফরিকাপুল মোড় পর্যন্ত অবস্থান করবে বলে আমাদের জানিয়েছিল। এর মধ্যে তরা থাকবেন। কিন্তু আমরা দেখলাম তারা ইচ্ছা করেই নাইটিঙ্গেল মোড় ছেড়ে আইইডিবি ভবন ছাড়িয়ে গেল। তারা জাজেজ আবাসন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করল। আমাদের যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর আক্রমণ করে। তাদের গাড়ি পুড়িয়ে দিল। সেই সময় পুলিশ তাদের রেসকিউ করে। তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার সময়ে প্রধান বিচারপতি বাসায় তারা জোর করে ঢুকে গেল। এই ধরনের ঘটনা কোনদিন আমরা দেখিনি। তখন বাধ্য হয়ে পুলিশ তাদের ওখান থেকে ডেসপাচ করল। তারা যাওয়ার আইইডিবি ভবনে ঢুকে ওখানকার গাড়িগুলোতে অগ্নিসংযোগ করল। সেখানে ভাঙচুর করল। জাজেজ কমপ্লেক্সে স্থাপিত আধুনিক সিসি ক্যামেরাগুলো ভেঙে ফেলল। উদ্দেশ্য বোধহয় তাদের এটাই ছিল যে তারা তাণ্ডব করবেন। আর এই তাণ্ডবের যেন কোনো সাক্ষী না থাকে সেজন্য সিটি ক্যামেরাগুলো বিনষ্ট করে দিয়েছে।


বিএনপি কোনো ধরনের সহিংসতা করবে না, তারা সমাবেশ শেষ করে চলে যাবে ডিএমপিকে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পুলিশ বাহিনী যখন তাদের নাইট নাইটিঙ্গেল মোড়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হলো। তখন দেখলাম পুলিশ সদস্যের ওপর বৃষ্টির মতো ঢিল ছুড়ল। এটা চোখে না দেখলে অনুমান করা যাবে না। মনে হয়েছিল তারা ব্যাগে করে ইট পাটকেল নিয়ে এসেছিল। সেগুলো পুলিশের গায়ে ছুড়ছিল সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী ছিল না। সেই ঢিলের আঘাতে একজন পুলিশ সদস্য পড়ে গিয়েছিল। দেখলাম ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে পেটাচ্ছে। তার মৃত্যু সুনিশ্চিত করার জন্য চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়। এই ধরনের নৃশংসতা ও বর্বরতা কোনো মানুষ সহ্য করবে না।


তিনি বলেন, তারা পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে বর্বরোচিত হামলা সেখানে করল। পুলিশের গাড়ি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করল। সেবিকাদের মারপিট করল। সামনে যা পেল তাই ভাঙচুর করল। এ ধরনের তাণ্ডব মনে হয় কোনো সভ্য জগতে দেখা যায় না। আমরা দেখছি ইসরায়েল গাজার হাসপাতালে সামরিক অভিযান করছে। সারা পৃথিবী তাকে নিন্দা করছে। সেই দৃশ্যপট আমরা এখানেও দেখলাম। এখানে শেষ নয় তারা মহিলা লীগের কর্মীদের পিটিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তাদের আক্রমণে গুরুতর আহত আরেকজন পুলিশকর্মী এখন নিউরো হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। দুইজন আনসার মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১১৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন।

হরতাল ডাকার সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, অবাক কথা হচ্ছে তারা পুলিশকে মারল, সাংবাদিক মারল, আমাদের মহিলা লীগের মেয়েদের গায়ে হাত তুলল। তাদের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করল। তারাই আবার হরতাল ডাকল। হরতাল ডেকে তারা ক্ষান্ত হননি। বাসে অগ্নিসংযোগ করে সেই বাসে ঘুমিয়ে থাকা হেল্পারকে পুড়িয়ে মেরেছে। এই ঘটনা ২০১৫ সালের ঘটনা মনে করিয়ে দেয়। তারা সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে। তারা নীলফামারীতে আওয়ামী লীগের হরতাল বিরোধী মিছিলকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। সেখানে আমাদের একজন কর্মী নিহত হয়। এই ধরনের নৈরাজ্য তারা সারা বাংলাদেশে ছড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ২৬টি গাড়ি পুরোপুরি ভস্মীভূত করেছে। তারা ভাঙচুর করেছে। আমাদের পুলিশ বাহিনী চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করে কর্তব্য পালন করছেন। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।



শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba