আজঃ মঙ্গলবার ২৬-১১-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: মঙ্গলবার ১৪ Nov ২০২৩
  • / পঠিত : ৬২ বার

আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস

: বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর)। ডায়াবেটিস দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।’ অর্থাৎ ডায়াবেটিস সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারলে একে প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশন (আইডিএফ) ১৪ নভেম্বরকে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০৭ সাল থেকে পৃথিবীজুড়ে দিবসটি পালন শুরু হয়। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অনুরোধে বাংলাদেশ সরকার ১৪ নভেম্বর ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালনের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব করে। ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘে এ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ হলো একটি গুরুতর ও দীর্ঘমেয়াদি অবস্থা। যখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দীর্ঘসময় ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, তখন এই সমস্যায় আক্রান্ত হয় মানুষ। অনেকে আছেন ডায়াবেটিস হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে বুঝতেই পারেন না, কিন্তু অকারণেই শুকিয়ে যান, ক্লান্তি আর অবসাদবোধ করেন।

ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ টের পান না যে তারা এই রোগে আক্রান্ত। অন্য কোনো রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে গিয়ে রোগটি ধরা পড়ে। বিশেষ করে, যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, তারা প্রথমদিকে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি বুঝতেই পারেন না।

কারণ এটা হচ্ছে ধীরগতির ঘাতক। যার হয়েছে, সেদিনই তাকে বিপদে ফেলবে না, কিন্তু আস্তে আস্তে তার শরীরের ক্ষয় করে দেবে। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস শনাক্ত না হলে বা চিকিৎসা না হলে কিডনি, লিভার, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সঙ্গে শরীরের ত্বক নষ্ট হয়ে যায়, চুল পড়ে যায়। শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গও ক্ষতির শিকার হতে পারে।

জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট)-এর একটি জরিপে দেখা গেছে, দেশে মোট ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দেড় কোটিরও বেশি। এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ৩০ লাখ আর বাকিরা ৩৫ বছরের বেশি বয়সী।

যে সব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হতে হবে-

ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া ও পিপাসা লাগা, দুর্বল লাগা, ঘোর ঘোর ভাব আসা, ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া, সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না হলে রক্তের শর্করা কমে হাইপো হওয়া, মিষ্টি জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া, কোনো কারণ ছাড়াই অনেক ওজন কমে যাওয়া, শরীরে ক্ষত বা কাটাছেঁড়া হলে দীর্ঘদিনেও সেটা না সারা, চামড়ায় শুষ্ক, খসখসে ও চুলকানি ভাব, বিরক্তি ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠা এবং চোখে কম দেখতে শুরু করা।

কাদের ঝুঁকি বেশি-

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের এই রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে। এছাড়া যারা নিয়মিত হাঁটাচলা বা শারীরিক পরিশ্রম করেন না, অলস বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন, তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

এছাড়া নারীদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে। যাদের হৃদরোগ রয়েছে, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

যেসব শিশুর ওজন বেশি, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদি, নানা-নানি বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের ডায়াবেটিস রয়েছে, যাদের মায়ের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হয়েছিল, সেই সব শিশুর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

নিয়ন্ত্রণে যা যা করতে হবে-

যারা যত বেশি শারীরিক পরিশ্রম করবেন, প্রতিদিন যদি অন্তত ১০ হাজার কদম কেউ হাঁটেন, তাহলে ডায়াবেটিস হলেও সেটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে। রিফাইন করা চিনি এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়া অন্যান্য খাওয়াদাওয়ায়ও রাশ টানতে হবে। সেক্ষেত্রে কী খাওয়া যাবে আর কী খাওয়া যাবে না, এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাইপ-২ ধরনের ডায়াবেটিসের ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই আগেভাগে সতর্ক থাকলে, শারীরিক পরিশ্রম করলে এবং খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ আনলে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু একবার ডায়াবেটিস হয়ে গেলে আর এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba