আজঃ মঙ্গলবার ১৭-০৯-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

প্রেমের টানে সাইপ্রাসের তরুণী ছুটে এলেন সাভারে

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: শনিবার ০২ Dec ২০২৩
  • / পঠিত : ১৮২ বার

প্রেমের টানে সাইপ্রাসের তরুণী ছুটে এলেন সাভারে

ডেস্ক : ‌কয়েক হাজার মাইলের দুই দেশের দূরত্ব যেন ভালোবাসার টানে এক হলো। পাঁচ বছরের প্রেমকে বিয়েতে রূপ দিতে সূদুর ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন এক তরুণী। সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে অবশেষে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সাভারের যুবক শামীম আহমেদের সঙ্গে। এরই মধ্যে শ্বশুরবাড়ি, আত্মীয়স্বজন আর প্রতিবেশীদের মন জয় করে নিয়েছেন ভিনদেশি এই নারী। পরদেশি এলাকার বউ পেয়ে দারুণ খুশি শামীমের পরিবারও।

শুক্রবার সাভারে আশুলিয়ার গাজীরচট আয়নাল মার্কেট এলাকায় মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান শামীমের স্ত্রীকে ঘিরে চলছে উৎসব। আত্মীয়স্বজন আর পাড়াপ্রতিবেশীরা ছুটে আসছেন ভিনদেশি বউকে একবার দেখতে। সাইপ্রাসের নাগরিক আন্থি তেলেবান্থু যেন সবাইকে আপন করে নিয়েছেন।

গত ২৭ নভেম্বর শামীমের বাড়িতে ছুটে আসেন আন্থি তেলেবান্থু। বৃহস্পতিবার ঢাকা জজকোর্টে বাংলাদেশের আইন অনুসারে বিয়ে করেন আন্থি ও শামীম।

শামীম আহমেদ বলেন, স্টুন্ডেন্ট ভিসায় ২০১৫ সালে আমি সাইপ্রাস যাই। সেখানে সিডিএ কলেজে ভর্তি হওয়ার পর লেখাপড়ার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম চাকরি নেই। একই প্রতিষ্ঠানে কাজের সুবাদে আন্থির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এক সময় আমরা দুইজনকে পছন্দ করা শুরু করি। পরে তা প্রেমে রূপ নেয়। সাইপ্রাসের লিমাসোল শহরে আন্থির বাসায় আমার যাওয়া-আসা শুরু হয়। ওর পরিবারের সঙ্গেও আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আমি দেশে ফিরে আসি। তারপরও আন্থি এবং আমার মধ্যে অনলাইনে যোগাযোগ হতো। আমার পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলত। অনেক আগে থেকেই সে বাংলাদেশে আমার বাড়িতে আসার জন্য উদগ্রীব ছিল। এরপর গত ২৭ নভেম্বর সে বাংলাদেশে চলে আসে। উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমরা দুজন বৃহস্পতিবার ঢাকা জজকোর্টে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই।

শামীম আরও বলেন, ‘আমার পরিবারের সঙ্গে আন্থি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। আট-দশটা বাঙালি বউদের মতোই সবার সঙ্গে মিশছে।’

তার কথায়, ‘বাঙালি বউ হওয়ার ইচ্ছাপূরণ হয়েছে। পরিবার ও আত্মীয়স্বজন সবাইকে মাতিয়ে রাখছে সে।’

আন্থি তেলেবান্থু বলেন, ‘আমরা দুজন একসঙ্গে কাজ করেছি। তারপর বন্ধু হয়েছি এবং আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে একজন ভালো চরিত্রের মানুষ হিসেবেই জানি। সে অসহায় মানুষদের সাহায্য করতে পছন্দ করে। এসব থেকেই আস্তে আস্তে আমি তার প্রেমে পড়ে যাই। আমার পরিবার শামীমকে অনেক পছন্দ করে। তারাও আমাদের এ সম্পর্ককে মেনে নিয়েছে। আমি বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ধ।’

শামীমের চাচা ফরিদ উদ্দিন বলেন, বিদেশি মেয়ে হলেও ওর সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক হয়ে গেছে। গত তিন দিন ধরে যখনই সে আমার সামনে আসছে ঘোমটা পরে আসছে, বাঙালি মেয়েদের মতো। সে আমাদের মতোই শাকসবজি, তরকারি খাচ্ছে। তাকে নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নাই।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba