আজঃ মঙ্গলবার ২৬-১১-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

বর্তমানে রেল চলাচলে হুমকি তৈরি হয়েছে : মন্ত্রী

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: বুধবার ২০ Dec ২০২৩
  • / পঠিত : ৮৬ বার

বর্তমানে রেল চলাচলে হুমকি তৈরি হয়েছে : মন্ত্রী

: রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিরাপদ রেলযাত্রাকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো যে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে, এ সময়টাতে রেল সম্পর্কিত সহিংসতা বাড়ছে। 

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে রেলভবনের সভাকক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলে নাশকতা বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন তিনি। 

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেল চলাচলে হুমকি তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকের সহযোগিতা চাই। রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে রেলকে সম্পৃক্ত করে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ফেলে জনজীবন যে হুমকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো প্রতিটি ফৌজদারি অপরাধ। আমাদের দিক থেকে আমরা নিরাপদ রেল যাত্রার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। 

সাম্প্রতিক সময়ে দুর্ঘটনা হওয়ার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, যাত্রী হয়ে ভেতরে ঢুকে ট্রেনে নাশকতা করলে তো রেলকে নিরাপদ করা সম্ভব না। বিএনপি-জামায়াত ২০১৩-১৪ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। বাসের বদলে ট্রেনকেই এখন প্রধান হাতিয়ার করা হচ্ছে। পরিকল্পিত দুর্ঘটনা ঘটাতে ফিশপ্লেট খুলে দিচ্ছে বলেও তিনি জানান।

মঙ্গলবার সকালে তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, পুরো ঘটনা তদন্ত না করে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবে না।

রেলে দুর্ঘটনা কমাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রেলের নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। রেলপথের ব্যাপারে সহযোগিতা করে সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, বৈঠক হয়েছে, সন্ত্রাসীরা যাতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে। 

রেলপথের বড় দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, রেলপথে সরাসরি আক্রমণের প্রথম ঘটনা ঘটে গত ১৬ নভেম্বর। টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের ২টি কোচে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এরপর ১৯ নভেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়িতে যমুনা এক্সপ্রেসে পরিকল্পিত নাশকতা করা হয়েছে। এ দুই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি না হলেও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন রেলপথমন্ত্রী। 

পরের তিন দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ২২ নভেম্বর সিলেটে উপবন এক্সপ্রেসে আগুন ধরানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে বিশফুট রেলওয়ে ট্র্যাক কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় একজন যাত্রী মারা যায়, ৫০ জন আহত হয়। আরও অনেক বেশি হতাহত হতে পারতো, যদিও ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেন আস্তে চলছিল বলে রক্ষা পাওয়া যায়। এরপর আজ বিমানবন্দর স্টেশন ছেড়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন যখন তেজগাঁও আসে তখন আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ট্রেনের তিনটি কোচ পুড়ে যায়, আর এখন পর্যন্ত ৪ জন মারা গেছে। 

তিনি বলেন, কর্ণফুলী সেতু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের অনেক যন্ত্রাংশ চুরি করার নামে খুলে নেওয়া হয়েছে যেন ট্রেন চলাচল করতে না পারে। তারা মনে করছে এ ধরনের নাশকতা ঘটিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা করা সম্ভব। যদিও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু তারা কর্মসূচি না দিলে তো এটা হতো না।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba