ইরানে আচমকাই ‘সাইবার-আক্রমণ’, বেশিরভাগ গ্যাস স্টেশন অচল

: ইরানের প্রায় ৭০% গ্যাস স্টেশন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, এটি একটি সাইবার আক্রমণের ফল। ‘প্রিডেটরি স্প্যা রো’ (গঞ্জেশকে দারান্দে) নামে একটি হ্যা কিং দলের হাত রয়েছে এর পেছনে, যার সাথে আবার যোগসূত্র রয়েছে ইসরাইলের। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি "সফটওয়্যার সমস্যা" গ্যাস স্টেশনগুলিতে অনিয়ম সৃষ্টি করেছে। ফলে জনগণকে এখনও চালু থাকা স্টেশনগুলিতে ভিড় না করার আহ্বান জানানো হয়েছে । রাষ্ট্রীয় টিভি তেল মন্ত্রকের একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে বলেছে, ৩০% মতো গ্যাস স্টেশন এখন পরিষেবা দিচ্ছে । দেশটিতে প্রায় ৩৩,০০০ গ্যাস স্টেশন রয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ইরান তার ফিলিং স্টেশন, রেলওয়ে সিস্টেম এবং শিল্পগুলিতে একটি সিরিজ সাইবার আক্রমণ দেখেছে। অতীতে কারাগারসহ সরকারি ভবনের নজরদারি ক্যামেরাও হ্যাক হয়েছে। ২০২২ সালে, গঞ্জেশকে দারান্দে গ্রুপ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি বড় ইস্পাত কোম্পানি হ্যাক করেছিল। ২০২১ সালে ইরানের জ্বালানি বিতরণ ব্যবস্থায় একটি সাইবার আক্রমণ সারা দেশে গ্যাস স্টেশনগুলিকে পঙ্গু করে দেয়, যার ফলে ক্ষুব্ধ গাড়ি চালকদের দীর্ঘ লাইন দেখা দেয়।

জ্বালানি পাম্পে হামলার দায় স্বীকার করেছে হ্যাকিং গ্রুপ। ২০০০ সালের শেষের দিকে দেশটির পারমাণবিক সাইটগুলিতে হাজার হাজার ইরানী সেন্ট্রিফিউজগুলিকে ব্যাহত করেছিল Stuxnet কম্পিউটার ভাইরাস, যা ব্যাপকভাবে মার্কিন-ইসরাইলের যৌথ সৃষ্টি বলে বিশ্বাস করা হয়। ‘সাইবার-অ্যা টাক’ ঘটানোর পর ফার্সি এবং ইংরেজিতে ‘প্রিডেটরি স্প্যা রো’-র বার্তা, ‘‘খামেনি তুমি আগুন নিয়ে খেলছ। এর মূল্যা তো চোকাতেই হবে। ইসলামিক রিপাবলিক আর তার সঙ্গীরা যে আগ্রাসন দেখিয়েছে, এই সাইবার-আক্রমণ তার জবাব।’’ স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। একাধিক গ্যা স স্টেশন এক ধাক্কায় বিকল হয়ে যাওয়ার খবর জানতে পেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তেহরানবাসী। গোটা ঘটনাটি আদপে ‘সফটওয়্যা র-জনিত সমস্যাে’ বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে ‘দ্য টাইমস অফ ইজরায়েল’। সূত্র : apnews.com