এপিবিএনের সঙ্গে গোলাগুলি: অস্ত্রসহ ৯ রোহিঙ্গা গ্রেফতার

: কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএনের সদস্যদের সঙ্গে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের পৃথক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অস্ত্র-গুলিসহ ৯ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে এপিবিএন।

এসময় ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ১টি শটগান, ২টি ওয়ান শুটারগান, ৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৩ রাউন্ড কার্তুজ ও ৩টি কালো রঙের হাফ হাতা গেঞ্জিসহ ৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে উখিয়ার ৪ নম্বর ও ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইকবাল।

গ্রেফতার ৫ জন হলেন- ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত আব্দুর জব্বারের ছেলে মো. হানিফ (৩০), একই ক্যাম্পের আবদুর রশিদের ছেলে মনির আহমদ (৩৫), আবদুল মাবুদের ছেলে আব্দুল হামিদ (২৩), আজিজুর রহমানের ছেলে নূর মোহাম্মদ (১৯) ও ৭ নম্বর ক্যাম্পের রশিদুল্লার ছেলে জাহিদ আলম (২৭)।

অন্যদিকে, ৩ নম্বর ক্যাম্পের অভিযানে ২টি ওয়ান শুটারগান, ৯ রাউন্ড রাইফেলের গুলিসহ ৪ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ৪ জন হলেন- ওই ক্যাম্পের আবুল হোসেন ছেলে হামিদ হোসেন (২৮), মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মো. ইয়াছিন (অপ্রাপ্তবয়স্ক), মৃত বশির আহমদের ছেলে হাসিম উল্লাহ (২৭) ও জাহিদ হোসেনের ছেলে নূর মোহাম্মদ (২২)।

১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইকবাল জানান, ক্যাম্পে বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে ৪ নম্বর ক্যাম্পে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে থাকলে পুলিশও নিজেদের জানমাল ও আত্মরক্ষার্থে ৬ রাউন্ড শটগানের সিসা কার্তুজ ফায়ার করে। পরবর্তীতে রোহিঙ্গা ইউনুসের ঘরের পিছনের পরিত্যক্ত ঘর হতে ৫ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রেফতার করে উদ্ধার করা হয় অস্ত্র ও গুলি।

তিনি জানান, অপর এক অভিযানে ৩ নম্বর ক্যাম্পে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে থাকলে পুলিশও পাল্টা ৫ রাউন্ড শটগানের সিসা কার্তুজ ফায়ার করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় পৃথক ২টি মামলা করে গ্রেফতার ব্যক্তিদের সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান এপিবিএন পুলিশের এই অফিসার।