আজঃ মঙ্গলবার ২৪-০৯-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

ট্রেনে আগুন: মর্গে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজে স্ত্রী, চাচার খোঁজে ভাতিজা

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: বৃহস্পতিবার ২১ Dec ২০২৩
  • / পঠিত : ১৪০ বার

ট্রেনে আগুন: মর্গে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজে স্ত্রী, চাচার খোঁজে ভাতিজা

ডেস্ক: রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে নিখোঁজ স্বামী খোকন মিয়াকে (৩৪) খুঁজছে স্ত্রী সাজন এবং নিখোঁজ চাচা রশীদ ঢালীর (৬০) খোঁজে ভাতিজা বেলাল আহমেদ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসেছেন। 

স্বামীর পুড়ে যাওয়া মরদেহের পাঞ্জাবি ও শরীর দেখে অনেকটাই নিশ্চিত এটা তার স্বামী। অপরদিকে ভাতিজা বেলাল আহমেদ তার চাচার চেহারা এবং পরিধেয় কাপড় দেখে তিনি অনেকটা নিশ্চিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে স্বামীকে খুঁজতে স্ত্রী সাজন এবং মুন্সীগঞ্জ থেকে চাচাকে খুঁজতে ভাতিজা বেলাল আহমেদ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে আসেন।

নিখোঁজ খোকনের স্ত্রী সাজন বলেন, ভাস্তির বিয়ের জন্য বৃহস্পতিবার সে গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে যায়। গতকাল রাতে ট্রেনে করে সে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে। এরপর সোমবার রাত ৯টায় তার সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে কথা হয় এরপর তার সঙ্গে আর আমার কোনো কথা হয়নি। পরে জানতে পারলাম ট্রেনে আগুন লেগে চারজন মারা গেছে।

কিন্তু আমি আমার স্বামীর মোবাইলে অনেকবার ফোন দিয়েছি তার মোবাইলে কল ঢুকে না।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে এসে দুইটি মরদেহ দেখি এর মধ্যে একটি মরদেহ পাঞ্জাবি পরা ও মুখমণ্ডল দেখে আমার স্বামীকে চিনতে পেরেছি। আমার স্বামী সব সময় পাঞ্জাবি পরতো। তবে এখানে স্যাররা বলেছেন ডিএনএ টেস্টে ম্যাচিং না হলে আমাদের লাশ দেবে না।

আগামীকাল সকাল ১০টায় আসতে বলেছে।

খোকনের স্ত্রীর সাজন আরো বলেন, আমিও আমার স্বামী ক্রোনি গ্রুপের অবন্তী কালার টেক্সটাইলে কাজ করি। আমার স্বামী ওই টেক্সটাইলের অ্যাসিস্ট্যান্ট অপারেটর হিসেবে কাজ করত। আমরা এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বিসিক এলাকায় থাকি।

অপরদিকে নিখোঁজ চাচা রশিদ ঢালির খোঁজে ঢামেক মর্গে এসে অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছেন ভাতিজা বেলাল হোসেন।

তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জের সদরে আমাদের বাড়ি। আমার চাচা রশিদ ঢালী নেত্রকোনা বড় বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করেন। গতকাল রাতে নেত্রকোনা থেকে পাইকারি কাপড় কেনার জন্য ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তিনি।

এর আগে তিনি বাসায় বলেছিলেন তিনি ঢাকায় যাচ্ছেন। আমরা টিভিতে খবর দেখে তার মোবাইলে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু মোবাইলে তার কোনো সংযোগ পাওয়া যায়নি। পরে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারি দুইটি অজ্ঞাত মরদেহ নাকি ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে রাখা হয়েছে। 

এখানে এসে আমরা মোটামুটি নিশ্চিত যে এটাই আমার চাচা। তবুও সিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্যরা আমাদের বলেছেন বুধবার সকাল ১০টায় আসতে। এরপর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে আমরা শতভাগ নিশ্চিত হতে পারব যে এটাই আমার চাচা।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba