আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯-০৯-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

অবশেষে নড়াইল শিল্পকলা একাডেমিতে পেল উন্নয়নের ছোঁয়া

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: শুক্রবার ০৫ Jan ২০২৪
  • / পঠিত : ১৯২ বার

অবশেষে নড়াইল শিল্পকলা একাডেমিতে পেল উন্নয়নের ছোঁয়া



স্টাফ রিপোর্টার : নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অবশেষে উন্নয়নের ছোঁয়া পেল। শিল্পকলা একাডেমিতে বর্তমান শিল্পী, সাংস্কৃতিক কর্মী, কবি, সাহিত্যিক ও শিশু  কিশোরদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। 


২০২৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমি ফিরে পেয়েছে তার হারানো ঐতিহ্য। প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে, নির্মিত হয়েছে  শিশু-কিশোরদের ক্লাস-রুম, অবকাঠাম ও সংস্কার উন্নয়ন। সাংস্কৃতিক কর্মীদের মাঝে নিয়ে এসেছে নতুন উদ্যম। এসব কারণে জেলা শিল্পকলা একাডেমি কে কুক্ষিগত করে রাখতে চাওয়া, স্বার্থন্বেষী মহলের রসানলে পড়েছে জেলা কালচারাল অফিসার মোহাম্মদ হামিদুর রহমান। অসত্য তথ্য উপাত্তের আশ্রয়ে বিভ্রান্ত করে চলেছে, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের। ইতোমধ্যেই অর্থ আত্মসাৎসহ অভিযোগে সংবাদ পত্রের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। কালচারাল অফিসার মোহাম্মদ হামিদুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নামে কিছু  স্বার্থন্বেষী মহল যে অভিযোগ তুলে গণমাধ্যমে বিভ্রান্ত তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করছে, এটা সম্পূর্ণ  ভিত্তিহীন এবং ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য ১ সাংবাদিক কে  ৫০ লক্ষ টাকার মানহানির মামমা করেছি।  আমার কাছে সকল তথ্য উপাত্ত রয়েছে। কোন খাতে কি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, কোথায় কি খরচ করেছি, আমি ১ বছর নড়াইলে যোগদানের পর শিল্প কলার বিভিন্ন খাতে ব্যয় করেছি যা দৃশ্যমান। আরো ২ লক্ষ টাকা এখন পর্যন্ত তুলা হয়নি। 

এ বিষয়ে, শিল্পকলা একাডেমিতে কর্মরত সাথী দাশ বলেন বর্তমান যে স্যার এসেছে প্রথম, তিনি একজন ভালো মানুষ, তার নামে যে অভিযোগ এসেছে সেটা ভিত্তিহীন, আগে শিল্পকলা একাডেমির বেহাল অবস্থায় ছিল। নতুন স্যার আসার পর এখানে লেখা-পড়ার সুন্দর পরিবেশ হয়েছে,বিগত দিনে ছাত্র-ছাত্রী  সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৫ জনের মত, আর বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০ জন। সব ছাত্র ছাত্রী দের আইডি কার্ড, বছরে দুই বার পরীক্ষা ও সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।  আর উন্নয়ন যা করছে তা দৃশ্যমান। বিগত দিনে সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক পরিচালিতদের অনিয়ম অডিট পূর্বক তদন্তের উল্লেখ করে যাত্রা শিল্পী ও উন্নয়ন পরিষদের ও টপ নাট্য সংস্থার সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, স্যার আগমনের পর অনেক স্বার্থন্বেষী মহলের ক্ষতি হচ্ছে। তাদের ধান্দা  ছিল শুধু লুটপাট করে নিবে, এই স্যার এসে সেটা বন্ধ করে । তাই তিনার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। এই স্যার আগমনের পর শিল্পকলা একাডেমির অবস্থা অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। শিল্পকলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবুজ শেখ বলে স্যারের নামে যে অভিযোগ তুলেছে এটা ভিত্তিহীন, দুর্নীতির কিছু দেখি না, এই স্যার আসায় অনেক পরিবর্তন এসেছে, তিনি প্রতিটি স্কুলে স্কুলে গিয়ে ছাত্র- ছাত্রী দের বোঝায়,  শিল্প কলা একাডেমির শিক্ষা কেন প্রয়োজন? ক্যাম্পেইন করে-করে ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবকদের বোঝাচ্ছেন। তার ফল বিগত দিনে ছাত্র-ছাত্রী  সংখ্যা ছিল ৪৫ জনের মত, আর বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০ জন। সীমিত সময় এসে যে উন্নয়ন করেছে তা দৃশ্য মান। এ ঘটনা বিস্ময় প্রকাশ করে সাংস্কৃতিক সংগঠক  ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এ মতীন বলেন, কালচারাল অফিসার মোহাম্মদ হামিদুর রহমান এসেছে অল্প কিছুদিন।  এত অল্প সময়ে দুর্নীতি করা সহজ নয়, আর তিনি  ইচ্ছে করলেই দুর্নীতি  করতে পারেন না,। কারণ এর সাথে জড়িত থাকেন জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, তাই বলছি সাংবাদিক সঠিক তথ্য না নিয়ে ভুল সংবাদ পরিবেশ করে নড়াইল কে ছোট করেছে,এর কোন যুক্তি নেই।, তিনি এসে যা করেছেন দৃশ্যমান, উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, কাজ শেষ হলে বলতে পারবো  হয়েছে ।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba