- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
আজ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০ তম জন্মবার্ষিকী
- আপডেটেড: শুক্রবার ২৬ Jan ২০২৪
- / পঠিত : ১৬৮ বার
আজ ২৫ জানুয়ারী বাংলা সাহিত্যে অমিতাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকাব্যের মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০ তম জন্মবার্ষিকী।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি (বাংলা ১২ মাঘ) যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদ সংলগ্ন সাগরদাঁড়ী গ্রামের ঐতিহ্যবাহি দত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা রাজ নারায়ন দত্ত, মা জাহ্নবী দেবী। অসাধারণ মেধার অধিকারী মধুসূদন দত্ত ব্যক্তি জীবনে ছিলেন খাম খেয়ালি, বিলাস প্রিয়। যশ খ্যাতির মহে আচ্ছন্ন মধুসূদন দত্ত হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ১৮৪৩ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেন। যা তৎকালীন হিন্দু সম্প্রদায়ের ভিতর তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে তিনি হিন্দু কলেজ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। মাদ্রাজে থাকাকালে নীলকর ডুগাল্ট্ ম্যাকটাভিসের আশ্রিত কন্যা রেবেকা ম্যাকটাভিসকে বিবাহ করেন। এরপর তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক ইংরেজ অধ্যাপকের কন্যা হেনরিয়েটাকে বিবাহ করেন। শিক্ষা জীবনে মধুসূদন গ্রীক, ফার্সি, জার্মান, ল্যাটিন, সংস্কৃত ভাষা সহ বহুভাষা রপ্ত করেন। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচনা করেন বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ মহাকাব্য ‘মেঘনাদবধ’।
এ ছাড়া রচনা করেন কাব্য ‘তিলোত্তমা সম্বব, ‘ব্রজাঙ্গনা’ ‘বীরঙ্গনা’ চতুদর্শপদী কবিতাবলী, নীতিমূলক কবিতা, নাটক ‘শর্মিষ্ঠা’ ‘পদ্মাবর্তী’ ‘কৃষ্ণ কুমারী’ ‘মায়া কানন’, প্রহসন ‘বুড়োশালিকের ঘাড়ে রোঁ’ ‘একেই কি বলে সভ্যতা’,* উপকথা-রসাল স্বর্ণ লতিকা, অশ্ব ও কুরঙ্গ, কুক্কট ও মনি, মেঘ ও চাতক, সিংহ ও মশকী। ব্যাঙ্গ রচনা- রোগ শয্যায়, দুর্যোধনের মৃত্যু। ইংরেজী রচনাবলী-THE CAPTIVE LAdIE, THE VISION OF THE PAST ইত্যাদি মধুসূদনের অমর সাহিত্য কর্ম। মাইকেল মধুসূদন মৃত্যুর আগ মুহূর্তে ‘সমাধি লিপি’ নামে আট লাইনের একটি কবিতাটি লিখে বলেছিলেন ‘আমার মৃত্যুর পর আমার সমাধির উপরে লিখে দিও সমাধি লিপি কবিতাটি’। কবিতাটি হলো
“দাঁড়াও পথিক-বর জন্ম যদি তব
বঙ্গে! তিষ্ঠ ক্ষণকাল ! এ সমাধি স্থলে
(জননীর কোলে শিশু লভয়ে যে মতি
বিরাম) মহীর পদে মহাদ্রিবৃত
দত্ত কুলোদ্ভব কবি শ্রী মধুসূদন।
যশোর সাগরদাঁড়ী কপোতাক্ষ-তীরে
জন্মভূমি জন্মদাতা দত্ত মহামতি
রাজ নারায়ন নামে জননী জাহ্নবী”।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত অসুস্থ্য হয়ে ১৮৭৩ সালে ২৯ জুন কলকাতাস্থ আলীপুরের জেনারেল হাসপাতালে বেলা ২ টার সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ৩০ জুন সেন্ট জেমস চার্চ এবং ধর্মযাজকের উদ্যোগে খৃষ্টীয় রীতি অনুযায়ী কলকাতার লোয়ার সার্কুলার রোডের সমাধি স্থলে যথাযোগ্য মর্যাদায় কবির মরদেহ সমাধি করা হয়।
এ জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ীতে চলছে ৯দিন ব্যাপী মধুমেলা। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্বাবধানে ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মেলা ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে ৫ টায় উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর চেয়ার অধ্যাপক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চেয়ার প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধন অনুষ্ঠান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোর -৬ কেশবপুর আসনের সাংসদ আজিজুল ইসলাম, যশোর -৫ আসনের সাংসদ মো. ইয়াকুব আলী প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেন।
প্রতিদিন মধমেলার মধুমঞ্চে কবির জীবনী, সৃষ্টি, সাহিত্যকর্ম নিয়ে দেশের কবি, সাহিত্যিক, লেখকরা আলোচনায় করছেন। এ ছাড়া মধুমঞ্চে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিকে মধুমেলা প্রাঙ্গনসহ আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও ডিবি পুলিশের তৎপরতায় শান্তিপূর্ন পরিবেশে মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলার মাঠে মেডিকেল টিম, দর্শনার্থীদের জন্য টয়লেট ও পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে বলে মেলা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে জানা গেছে।
এবারের মধুমেলায় বিনোদনের জন্য সার্কাস, যাদু, মৃত্যুকূপ, নাগরদোলার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও মেলা প্রাঙ্গনে বসেছে বিভিন্ন পসরার স্টল। মেলা উপলক্ষে মধুমঞ্চ, কবির বাড়ি, বিদায় ঘাটসহ নানা স্থানে দদর্শনার্থীদের উপছে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার