- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে
- আপডেটেড: বুধবার ২১ Feb ২০২৪
- / পঠিত : ১৫৪ বার
: শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। মূল বেদির সামনে আলপনার কাজ প্রায় শেষ। পশ্চিমে জগন্নাথ হলের দিক থেকে আসা রাস্তার দুই পাশের দেয়ালে চলছে শেষ মুহূর্তের লেখালেখি আঁকাআঁকির কাজ। প্রতিবারের ন্যায় এবারও শহিদ মিনার এলাকা রাঙানোর কাজ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার শহিদ মিনার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এদিন রাত থেকেই শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এখানে ভিড় করবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, শহিদ মিনারের মূল বেদির সামনে আলপনা এঁকেছেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। সেখানে শেষ মুহূর্তের আঁচড় দিচ্ছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। শহিদ মিনারের উত্তর পাশের দেয়ালের প্রতিটি ব্লকে লেখা হয়েছে বিভিন্ন লেখকের কবিতা ও উক্তি।
দেয়ালে লেখা হয়েছে কবি জসীম উদ্দীনের কবিতার অংশ- ‘এ ভাষারি মান রাখিতে/ হয় যদিবা জীবন দিতে/চার কোটি ভাই রক্ত দিয়ে/ পুরাবে এর মনের আশা।’
লেখা হয়েছে মীর মশাররফ হোসেনের উক্তি- ‘মাতৃভাষায় যাহার শ্রদ্ধা নাই, সে মানুষ নহে।’ আবুল ফজলের ‘একুশ মানে মাথা নত না করা।’
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর কবিতার অংশ- ‘মাগো ওরা বলে/ সবার কথা কেড়ে নেবে/ তোমার কোলে শুয়ে/ গল্প শুনতে দেবে না/ বলো মা তাই কি হয়?’
এর পাশেই আঁকা হয়েছে ভাষা আন্দোলনের উত্তাল সময়ের চিত্র। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানরত আন্দোলনকারীদের প্রতিচ্ছবি। ‘উর্দু নয় বাংলা’, ‘অ আ ক খ’ প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিলে গলা ফাটানো তরুণ-তরুণীদের ছবি, মৃত কিশোরের লাশ কোলে মায়ের চিত্র।
তবে পুরো দেয়ালচিত্রের কাজ এখনো শেষ হয়নি। শেষ মুহূর্তে তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা। আঁকাআঁকিতে ব্যস্ত অতনু চারুকলা অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, আজই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় প্রাণ খুলে এখানে কাজ করতে আসেন। মাতৃভাষা দিবসে ভাষার নানা অনুষঙ্গ দিয়ে প্রাঙ্গণটি রঙিন করার চেষ্টা করছি আমরা।
রাস্তার অন্য পাশের দেয়ালে লাল রঙে লেখা হয়েছে জাতীয় সংগীতের প্রথম লাইন ‘আমার সোনার বাংলা/আমি তোমায় ভালোবাসি।’ সঙ্গে টেপা পুতুলের আদলে ঘোড়া, মাছ, পাখি, ময়ূর খরগোশ, নৌকাসহ বাংলার নানা চিত্র আঁকা হয়েছে।
আঁকাআঁকির ফাঁকে চারুকলা অনুষদের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সুতপা বলেন, আমাদের যে কেউ চাইলে এখানে কাজ করতে পারে। শিক্ষকদের নির্দেশনায় সবাই কাজ করে। প্রতিবারের মতো এবারো চারুকলা অনুষদ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ রঙিন করেছে।
এ বিষয়ে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নেসার হোসেন বলেন, আমাদের শতাধিক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী আঁকাআঁকিতে অংশ নিয়েছেন। প্রতিবারের মতো এবারও আমরা কাজ করছি। কাজ বিকেলের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
রঙ করা হচ্ছে রাস্তার পাশের ফুটপাতের ব্লকগুলোও। সাদা কালো রঙে বক্লগুলোতে রঙ করছেন উসমান মিয়াসহ কয়েকজন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তার পুষ্পস্তবক অর্পণের ছবি দিয়ে শহীদ মিনারের দক্ষিণ পাশের প্রবেশমুখে প্রদর্শনী করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সে কাজও প্রায় শেষের দিকে।
সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণে উপাচার্য
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শহিদ মিনার প্রস্তুতির সার্বিক অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তার সঙ্গে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব ড. মো. মাকসুদুর রহমান ও চারুকলা অনুষদের ডিন নেসার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পর্যবেক্ষণ শেষে উপাচার্য বলেন, আমাদের জাতীয় অনুষ্ঠানটি যেন সুষ্ঠুভাবে হয় সেই উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছি। এটি সফলভাবে শেষ করতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছে।
তিনি আরো বলেন, আগের বছরগুলোয় আমাদের কোথায় ভুল ছিল, কোথায় গ্যাপ ছিল, সেগুলো বিশ্লেষণ করে এবার তা কমানোর চেষ্টা করেছি। পুরো অনুষ্ঠান যেন ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হয়, সে ব্যবস্থা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বক্তৃতায় বাংলা ভাষার প্রতি অনুরক্ততা প্রকাশ করে যে কথা বলেছিলেন, তার ছবিসহ সে উক্তিও আমরা এখানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছি যেন তরুণ প্রজন্ম ইতিহাস জানতে পারে।
রাত ১২টা ১ মিনিটে কার্যক্রম শুরু
একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদিতে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতারা শ্রদ্ধা জানাবেন।
এরপর পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন তিন বাহিনীর প্রধানরা। পরে ভাষা সৈনিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অনুষদের ডিন ও হলের প্রাধ্যক্ষরা শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহিদ মিনার উন্মুক্ত থাকবে।
একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনারে যাতায়াতের রুটম্যাপ
একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের গেট থেকে ফুলার রোড মোড়, টিএসসির সড়কদ্বীপ থেকে বকশীবাজার সড়ক, কাজী মোতাহার হোসেন থেকে শহিদ মিনারের সড়ক এবং দোয়েল চত্বর থেকে চানখারপুল পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকবে।
জনসাধারণকে পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহিদ মিনারে গিয়ে এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে বলা হয়েছে।
শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর সেখান থেকে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের সামনের রাস্তা হয়ে দোয়েল চত্বর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রাস্তা দিয়ে চানখারপুল হয়ে প্রস্থান করা যাবে। শহিদ মিনারের দিকে আসা যাবে না।
এ ছাড়া শহিদদের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য জনসাধারণকে হোম ইকোনোমিকস মোড় দিয়ে আজিমপুর কবরস্থানের উত্তর গেটের দিকে গিয়ে শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পর দক্ষিণ গেট দিয়ে ইডেন মোড় হয়ে বের হতে বলা হয়েছে।
৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এ বছর শহিদ মিনারে চার স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শহিদ মিনার এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল টিম, সোয়াত টিম, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমমহ অন্যান্য টিম নিরাপদ দূরত্বে প্রস্তুত থাকবে। শহিদ মিনার এলাকায় সার্বক্ষণিক তল্লাশি ব্যবস্থা এবং পেট্রলিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ড্রোন পেট্রলিং, মোবাইল পেট্রলিং এবং সাইবার পেট্রলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার