- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
একই দিনে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু, দীর্ঘদিনের মনোবাসনা পূর্ণ
- আপডেটেড: শনিবার ১৬ Mar ২০২৪
- / পঠিত : ১৬০ বার
আজগার-তহিদা দম্পতির প্রায় পাঁচ যুগের সংসার। তাদের দুজনের মধ্যে ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের কমতি ছিল না। মনোমালিন্য যে হয়নি তা নয়, কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকেনি। দীর্ঘ সংসার জীবনে ঘাত-প্রতিঘাত সামলেছেন একসঙ্গে। কখনো পরস্পরকে ছেড়ে থাকতেন না তারা।
বেঁচে থাকতে সব সময় কামনা করতেন একসঙ্গে যেন মৃত্যু হয়। ইচ্ছে ছিল পাশাপাশি সমাধিস্থ হওয়ার। তাদের সেই ইচ্ছাই পূরণ হয়েছে। একই দিনে পৃথিবী ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন এই বয়স্ক দম্পতি।
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের ইন্দিরাপাড়া গ্রামের আজগার আলী (৮০) ও তার স্ত্রী তহিদা খাতুন (৭২) দম্পতির মৃত্যু হয়েছে একই দিনে। আল্লাহ তাদের দীর্ঘদিনের পবিত্র চাওয়াকে পূর্ণতা দিয়েছেন মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোরে আজগার আলী এবং একই দিনে রাত ৮টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তার স্ত্রী তহিদা খাতুন।
আজগার আলীর ভাতিজা নুরু মিয়া জানান, বুধবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতে একসঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ওই দম্পতি। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন তহিদা খাতুন। এ সময় ডাকাডাকি করেও স্বামীর সাড়া পাননি। তার কান্না শুনে বাড়ির অন্য লোকজন ছুটে আসেন। তখন তারা বুঝতে পারেন আজগর আলী মারা গেছেন।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, আজগার আলী ছিলেন কৃষক। তিনি কিছুদিন ধরে অ্যাজমা রোগে ভুগলেও গৃহিণী তহিদা খাতুনের তেমন কোনো রোগ ছিল না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল হক জানান, আজগার আলীর মৃত্যুর পর থেকে স্ত্রী তহিদা খাতুন শোকার্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার বাদ যোহর জানাজা শেষে বাড়ির পাশেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আজগর আলীকে। জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণকারী স্বজনদের অনেকটা শক্ত মনে বিদায় দেন তহিদা খাতুন। রাত ৮টার দিকে বাড়িতে হঠাৎ মাথা ঘুরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তাৎক্ষণিক মারা যান তহিদাও। পরে মধ্যরাতে জানাজা শেষে স্বামীর কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।
ওই দম্পতির সন্তান লাভলু মিয়া বলেন, আমার বাবা-মায়ের মধ্যে যে ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব ছিল, তা এ যুগের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সাধারণত দেখতে পাই না। জীবদ্দশায় বাবা-মা সব সময় কামনা করতেন একসঙ্গে তাদের যেন মৃত্যু হয়। আল্লাহ তাদের সেই মনোবাসনা পূর্ণ করেছেন।
বদরগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা বিট কর্মকর্তা মাসুদ আলম বলেন, ঘটনাটি বিস্ময়কর। স্বামী-স্ত্রীর একই দিনে স্বাভাবিক মৃত্যু তেমন দেখা যায় না।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার