আজঃ মঙ্গলবার ১৭-০৯-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

মুন্সীগঞ্জে আ.লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি, নিহত ১

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / পঠিত : ৮৫ বার

মুন্সীগঞ্জে আ.লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি, নিহত ১

: মুন্সীগঞ্জ সদরের চরকেওয়ারে আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পারভেজ (২০) নামে এক যুবক মারা গেছেন। 

শনিবার (১৩ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে ইউনিয়নের ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামে মামুন ও আহমেদ গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা থেকে শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৭টা পর্যন্ত থেমে থেমে এই সংর্ঘষ চলে। গোলাগুলি ও শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণে রণক্ষেত্র পরিণত হয় চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসকান্দি ও ছোট মোল্লাকান্দি গ্রাম। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ রাব্বি (১৯) ও পারভেজকে (২০) প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে পারভেজ মারা যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরকেওয়ার ইউনিয়নের খানকান্দি ও ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মামুন হালদার-নজির হালদার গ্রুপের সঙ্গে আহমদ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে এর আগেও কয়েক দফা সংঘর্ষে লিপ্ত হয় গ্রুপ দুটি। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার গভীর রাত থেকে আবারও বিবাদে জড়ান দুই গ্রুপের সমর্থকরা । মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণে রণক্ষেত্র পরিণত হয় গ্রাম দুটি। এতে গুলিবিদ্ধ দুইজনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনো হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ১০ থেকে ১২টি বসতবাড়ি। বর্তমানে গ্রাম দুটিতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। 

আহমদ গ্রুপের আহমদ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাতে মামুন হালদারের ভাই সেলিম হালদার গ্রুপের লোকজন আমার কর্মী-সর্মথকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে পারভেজ ও রাব্বিকে গুলি করে। সেই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পারভেজ মারা গেছে। এছাড়াও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। 

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন মামুন হালদার। তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকে আমাদের লোকজনকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল আহমদ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা। পরে রাতে আমার লোকজনের বাড়িঘরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বেধে যায়। এতে আমার ৮ থেকে ১০ জন কর্মী আহত হয়েছে। 

বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে দাবি করে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে গ্রাম দুটিতে পুলিশি অভিযান চলছে। যারাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba