- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
উপজেলা নির্বাচনে স্ত্রী-ছেলেকে না দিয়ে কর্মীদের মূল্যায়ন করা উচিত : প্রধানমন্ত্রী
- আপডেটেড: শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
- / পঠিত : ৭৭ বার
উপজেলা নির্বাচনে স্ত্রী-ছেলেকে না দিয়ে কর্মীদের মূল্যায়ন করা উচিত বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবনে সাম্প্রতিক থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্যদের অংশ নিতে নিষেধ করার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। তারা আগে নির্বাচন করেছেন। কেউ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান। তাদের তো রাজনৈতিক জীবনী আছে। তাদের মানা করি কী করে? তবে এটা ঠিক, এক জায়গায় বউকে দিলো, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিলো- এগুলো ঠিক না। কর্মীদের মূল্যায়ন করা উচিত। সেটাই নেতাকর্মীদের বলতে চেয়েছি।
তিনি বলেন, পারিবারিক ফর্মুলা কী? নিজের ছেলে-মেয়ে-স্ত্রী, এই তো। তারপর হিসাব করে দেখেন কয়জন ছেলেমেয়ে, কয়জন স্ত্রী দাঁড়িয়েছে। এর বাইরে তো পরিবার ধরা হয় না। আমাদের কথা হচ্ছে নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, আমাদের লক্ষ্য। সবকিছু নিজেরা নিয়ে নেবো, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখবো না, এটা হয় না। সেই কথাটা আমি বলতে চেয়েছি। সবাই দাঁড়িয়েছে, নির্বাচন করছে, সেটার লক্ষ্য হলো নির্বাচনকে অর্থবহ করা।’
বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের উপজেলা নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন বর্জন করে কেন? কারণ তাদের নির্বাচন করার মতো সক্ষমতা নাই।
উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, যেমন ধরুন সংসদ নির্বাচন। সে নির্বাচন করতে হলে জনগণকে তো দেখাতে হবে আপনাদের পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবে বা প্রধানমন্ত্রী কে হবেন বা নেতা কে হবেন? একজন নেতাকে তো দেখাতে হবে। আপনাদের কাছে যদি এখন উপযুক্ত নেতা না থাকে তখন তো আপনাকে একটা ছুতা খুঁজতে হয়। হ্যাঁ, নির্বাচন করলাম না, বাস্তবতা সেটাই। আমাদের দেশে ওটাই এখন হচ্ছে। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বা পলাতক আসামিকে যদি জনগণের সামনে দেখান তাহলে পাবলিক তো সেটা মেনে নেবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা উপজেলায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। যেখানে জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে। উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত রাখাই আমার লক্ষ্য। সেখান থেকে যারাই জিতে আসে আসবে। সেটা হলো বাস্তবতা। মানুষ যাকে চাইবে সেই জয়ী হবে। যেমন আওয়ামী লীগকে চেয়েছে (ক্ষমতায়), আওয়ামী লীগ চলে এসেছে।
আওয়ামী লীগই প্রথম আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ আর্থিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ওপর নির্ভরশীল ছিল। আমরা এটাকে সেখান থেকে মুক্ত করে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত করে দিয়েছি। আলাদা বাজেট দেওয়া হয়েছে।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, এখন কোনো কোনো দল থেকে মানুষকে ভোটে না যেতে বলা হচ্ছে। প্রশ্নটা হচ্ছে মানুষ কেন ভোটে যাবে না? এটাতো তার অধিকার। তার এলাকায় সে যাকে চায় তাকে সে ভোট দেবে। তাদের এই ভোটের অধিকারে হস্তক্ষেপ কেন?
রাজনীতি করতে গেলে ঝুঁকি নিতে হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার বাবার খুনিরা পুরস্কারপ্রাপ্ত, যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন এবং সাজাপ্রাপ্তও ছিল তাদের ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়, তারাই ক্ষমতায়। তারাই মন্ত্রী-উপদেষ্টা হয়।
তিনি আরও বলেন, ওই অবস্থায় আমি দেশে ফিরে আসি। জীবন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বারবার আঘাত এসেছে কিন্তু বেঁচে গেছি। বেঁচেও গেছি এবং বারবার নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এসেছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলেই আজকে দেশের উন্নতি।
থাইল্যান্ডে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়, ফিলিস্তিন ইস্যু, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, হিট ওয়েভ, আমেরিকায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা প্রসঙ্গসহ বিভিন্ন বিষয় ওঠে আসে। প্রধানমন্ত্রী এসবের জবাব দেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার