আজঃ বৃহস্পতিবার ২১-১১-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

গ্রাম থেকে চাচাতো ভাইকে এনে কোটি টাকার কাজ করাচ্ছেন ইউএনও

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: বুধবার ১১ Sep ২০২৪
  • / পঠিত : ৪০ বার

গ্রাম থেকে চাচাতো ভাইকে এনে কোটি টাকার কাজ করাচ্ছেন ইউএনও

গ্রাম থেকে চাচাতো ভাইকে এনে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে প্রায় কোটি টাকার কাজ করাচ্ছেন রাজশাহীর পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত। এ ছাড়া ডরমিটরি ও শিল্পকলা একাডেমি অফিস সংস্কারের কাজও করছেন ইউএনওর চাচাতো ভাই রাজীব রনক।


উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই ঘর নির্মাণ দরপত্র প্রক্রিয়ায় ঠিকাদারের মাধ্যমে হয় না। একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনই কাজটি বাস্তবায়ন করে। এই কমিটির আহ্বায়ক ইউএনও। আর সদস্য সচিব থাকেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। এছাড়া কমিটিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের থাকার কথা। কিন্তু কমিটি ছাড়াই চাচাতো ভাইকে নিয়ে কাজ করছেন ইউএনও। 

অভিযোগ রয়েছে- নির্মাণ শেষ হতে চললেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির কোনো সভাও হয়নি।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পবা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় অনেক আগেই টিন দিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাওয়ায় ইট দিয়ে ঘর তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।  প্রকল্পের অর্থ দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রতিটি বাড়ির জন্য বরাদ্দ ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। গত অর্থবছরের এই কাজ শুরু হয়েছে জুন মাসে। নিম্নমানের কাজের অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পিলারের ওপরের অংশে শুধু একটি করে রড দেখা যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, পিলারের নিচে ফুটিং ঢালাই দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেটিও করা হয়নি। নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই এসব পিলার ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় লোকজন নিম্নমানের কাজ করতে দেখেছেন।


উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইউএনও আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাতের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলায়। প্রায় এক বছর আগে তিনি পবার ইউএনও হিসেবে যোগ দেন। এর কিছুদিন পরই তিনি গ্রাম থেকে চাচাতো ভাই রাজীব রনককে আনেন। রনক এখন উপজেলা চত্বরে ইউএনওর সরকারি বাসভবনেই থাকেন। ইউএনও সব নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ তার চাচাতো ভাইকে দিয়েই করান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।


আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো নির্মাণের ব্যাপারে মুঠোফোনে ইউএনওর চাচাতো ভাই রাজীব রনক বলেন, আমি তেমন কিছু জানি না। তবে চুরি-চামারি হয় কি না দেখছিলাম। বেড়াতে গিয়ে শুধু দেখেছি। এখন আর দেখি না।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই ৩০টি ঘর নির্মাণের বিষয়ে কোনো সভা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু বাশির কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, কাজটা যদি ঠিকাদারের মাধ্যমে হতো এবং ইউএনওর চাচাতো ভাই যদি যোগ্যতাসম্পন্ন বৈধ ঠিকাদার হতেন তাহলে কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু যেহেতু কাজটা দরপত্র প্রক্রিয়ায় ঠিকাদারের মাধ্যমে হচ্ছে না, সেহেতু তিনি চাচাতো ভাইকে দিয়ে কাজ করাতে পারেন না। এ বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেলে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।  



ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba