আজঃ শুক্রবার ১৮-১০-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৭ কোটি টাকার চেক জালিয়াতি, অভিযুক্ত ১১

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: বৃহস্পতিবার ১৭ Oct ২০২৪
  • / পঠিত : ৩ বার

যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৭ কোটি টাকার চেক জালিয়াতি, অভিযুক্ত ১১

:যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেক জালিয়াতি করে প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চেক জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় দুদক ১১জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। বুধবার বিকেলে (১৬ অক্টোবর) যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত) এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক সমন্বিত কার্যালয় যশোরের উপ-পরিচালক মো. আল-আমিন।

তবে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমির হোসেন ও শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক এএমএইচ আলী আর রেজাকে।

এর আগে ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবরে শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমির হোসেনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল।

অভিযুক্তরা হলেন, যশোর শিক্ষা বোর্ডের হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম, রাজারহাটের ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শেখ শরিফুল ইসলাম, হাইকোর্ট মোড়ের শাহী লাল স্টোর মালিক আশরাফুল আলম, পোস্টঅফিস পাড়ার নূর এন্টারপ্রাইজের মালিক গাজী নূর ইসলাম, শহরের জামে মসজিদ লেন এলাকার প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক ও ইকবাল হোসেনের স্ত্রী রুপালী খাতুন, উপশহর ই-ব্লক মো. সহিদুল ইসলাম, একই এলাকার সোনেক্স ইন্টারন্যাশনালের মালিক রকিব মোস্তফা, যশোর শিক্ষা বোর্ডের সহকারী মূল্যায়ন অফিসার আবুল কালাম আজাদ, নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর জুলফিকার আলী, নিম্নমান সহকারী (চেক ডেসপাসকারী), মিজানুর রহমান, ও সাধারণ কর্মচারী (চেক ডেসপাসকারী) কবির হোসেন। ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর আত্মসাতের প্রথম ঘটনাটি ধরা পড়েছিল।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, ১১ আসামি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর এর ৩৮টি জালিয়াতি করে ছয় কোটি ৭৪ লাখ ৪৩ হাজার ৩ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মামলার তদন্তাকরী কর্মকর্তা দুদক যশোর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আল আমিন চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, তদন্তকালে দেখা যায়, মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের প্রায় ২৫টি হিসাব সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, বিআইএসই শাখা, যশোরে পরিচালিত হয়। ২০১৭-১৮ অর্থ বছর হতে ২০২১-২০২২ অর্থবছর পর্যন্ত ৩৮টি চেক জালিয়াতি করে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা প্রদানের পর ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭০৬ টাকার স্থলে ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৩৯৭ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

তদন্তকালে দেখা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ৩৮ চেকের মধ্যে টিএ/ডিএ বিল বাবদ আসামি আব্দুস সালামের নামে ইস্যুকৃত চেক তিনটি, সাধারণ বিল বাবদ সহকারী সচিব আশরাফুল ইসলামের নামে ইস্যুকৃত চেক একটি, মিম প্রিন্টিং প্রেসের নামে তিনটি, মেসার্স খাজা প্রিন্টিং প্রেসের নামে দুটি, নিহার প্রিন্টিং প্রেসের নামে একটি, সবুজ প্রিন্টিং প্রেসের নামে একটি, শরিফ প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের নামে একটি, সানিয়া ইলেক্ট্রনিক্সের নামে একটি, নুর এন্টার প্রাইজের নামে আটটি, প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেস নামে তিনটি, শাহী লাল স্টোরের নামে একটি, দেশ প্রিন্টার্স নামে একটি, সেকশন অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদের নামে একটি, অর্পানেটের নামে একটি, আয়কর কর্তন বাবদ ইস্যুকৃত চেক চারটি ও ভ্যাট কর্তন বাবদ ইস্যুকৃত চেক ছয়টি চেক রয়েছে।

আসামি আব্দুস সালাম দুই হাজার ৮৭০ টাকার একটি চেক ও সহকারী সচিব আশরাফুল ইসলামের রিসিভ করা চার হাজার ২৭৫ টাকার একটি চেকের টাকার পরিমাণ কথায় ও অংকে আবদুস সালাম নিজে ঘষামাজার মাধ্যমে অবমোচন করে টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে লিখে প্রিন্ট করে বসিয়ে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, বিআইএসই শাখা, যশোরে উপস্থাপন করে অতিরিক্ত ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন।

এছাড়া তার রিসিভ করা দুটি আয়কর চেক একইভাবে আশরাফুল আলমের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, যশোর শাখা, যশোরে পরিচালিত শাহী লাল স্টোর নামীয় হিসাবে জমা প্রদান করে মোট ৬১ লাখ ৩২ হাজার টাকা মো. আশরাফুল আলম ও মো. সহিদুল ইসলাম (আসামি মো. আব্দুস সালামের আপন ছোট ভাই) সঙ্গে যোগসাজস করে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এভাবে আব্দুস সালাম তার রিসিভ করা অপর দুটি টিএ/ডিএ চেক টেম্পারিং করে টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে লিখে প্রিন্ট করে বসিয়ে অপর আসামি শেখ শরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগসাজস করে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড যশোর শাখা থেকে ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৫ টাকা টাকা শেখ শরিফুল ইসলাম ও রুপালী খাতুন যোগসাজস করে আত্মসাৎ করেছেন।

আসামি আব্দুস সালাম আয়করের অবশিষ্ট দুটি চেক ও ভ্যাটের ছয়টি চেক টেম্পারিং করে ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড যশোর শাখা থেকে মোট দুই কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২০ টাকা শেখ শরিফুল ইসলাম ও রকিব মোস্তফার সঙ্গে যোগসাজস করে আত্মসাৎ করেছেন। অর্থাৎ আসামি আব্দুস সালামের ১৬টি চেক টেম্পারিং করে শেখ শরিফুল ইসলাম, আশরাফুল আলম আবুল কালাম আজাদ, রুপালী খাতুন, মো. সহিদুল ইসলাম, রকিব মোস্তফা যোগসাজস করে ডেসপাসকারী মিজানুর রহমানের সহায়তায় তিন কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার ৭২৫ টাকা নগদে উত্তোলন ও ট্রান্সফারের মাধ্যমে আত্মাৎ করেছেন।

এভাবে তদন্তকালে উক্ত ৩৮টি চেক বিশারদের মাধ্যমে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়। ফরেনসিক পরীক্ষায় বিশারদের মতামত অনুযায়ী, ৩৮টি চেকের মধ্যে ২১টি চেকে শুধু টাকার পরিমাণ কথায় ও অংকে অংশে ঘষামাজার মাধ্যমে পূর্বের লেখা অবমোচন করে পরবর্তীতে দৃশ্যমান লেখা প্রিন্ট করে বসানো হয়েছে। অবশিষ্ট ১৭টি চেকের টাকার পরিমান কথায় ও অংকে ঘষামাজার মাধ্যমে লেখা অবমোচন করে পরবর্তীতে দৃশ্যমান লেখা প্রিন্ট করে বসানো হয়েছে।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেক জালিয়াতির বিষয়ে তদন্ত করার জন্য কলেজ পরিদর্শক কে এম রব্বানীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যর অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে মতামত প্রদান করেন যে, বিতর্কিত চেকগুলোর টাকার অংক এবং কথায় লেখার অংশে নিরাপত্তা দাগগুলো (বাঁকা রেখা) ঘষে ওঠানো হয়েছে, তা আল্ট্রাভায়োলেট মেশিনে স্পষ্টভাবে পরিদৃষ্ট হয়েছে। ভ্যাট ও আয় করের চেকগুলো এবং যে চেকগুলোতে প্রাপকের নাম পাল্টে অন্য নাম বসানো হয়েছে তার সবগুলোতে প্রাপকের নাম লেখার অংশে নিরাপত্তা দাগগুলো (বাঁকা রেখা) ঘষে ওঠানো হয়েছে বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। সাধারণ চোখে এটি তেমন নজরে পড়ে না। খুব খেয়াল করলে টেম্পারিং করার চিহ্ন দেখা যায়।

দুদক যশোরের উপ-পরিচালক আল আমিন জানান, যশোর শিক্ষা বোর্ডের ইস্যুকৃত ৩৮টি চেক রিসিভ করার পর টেম্পারিং/ঘষামাজার মাধ্যমে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪৩ হাজার ৩ টাকা (ছয় কোটি চুয়াত্তর লাখ তেতাল্লিশ হাজার তিন) নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে অভিযুক্তরা।

তদন্তকালে আরও দেখা যায়, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছর হতে ২০২১-২০২২ অর্থ বছর পর্যন্ত যশোর শিক্ষা বোর্ডে দুজন চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলিম ও অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেন কর্মরত ছিলেন। সময়ে ড. মোল্লা আমির হোসেনসহ তিনজন সচিব কর্মরত ছিলেন। উল্লেখ্য ড. মোল্লা আমির হোসেন প্রথমে সচিব ছিলেন, পরে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। অন্য দুজন সচিব হলেন প্রফেসর এ এম এইচ আলী আর রেজা ও প্রফেসর মো. তবিবার রহমান। প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম’র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২২টি এবং অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ৩৮ টি চেক জালিয়াতি হয়েছে। তারা দুজন ৩৮টি চেকে চেয়ারম্যান হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন। এছাড়া উক্ত ৩৮টি চেকের মধ্যে ড. মোল্লা আমির হোসেনের সচিব হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে ১২ টিতে, প্রফেসর এ এম এইচ আলী আর রেজা এর সচিব হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে পাঁচটিতে এবং প্রফেসর মো. তবিবার রহমানের সচিব হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে ২১ টিতে। মোট ৩৮ টি চেক জালিয়াতি/টেম্পারিং এ সিগনেটরি হিসেবে বোর্ডের বর্ণিত চেয়ারম্যান ও সচিবের দালিলিক সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি, কারণ চেকগুলো তাদের স্বাক্ষরের মাধ্যমে ডেসপাস হওয়ার পর টেম্পারিং হয়েছে। এছাড়া টেম্পারড চেক তাদের নামীয় ব্যাংক হিসাবে জমা হয়নি বা চেক টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত অপরাধলব্ধ অর্থ তাদের ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফারের মাধ্যমে জমা হওয়ার রেকর্ডও তদন্তকালে পাওয়া যায়নি। সুতরাং আলোচ্য ৩৮টি চেক জালিয়াতির ঘটনায় সিগনেটরি হিসেবে বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম ও অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেন এবং সচিব প্রফেসর এ এম এইচ আলী আর রেজা ও প্রফেসর মো. তবিবার রহমানের সম্পৃক্ততা নেই। বিধায়, এজাহার নামীয় ১নং আসামি অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেন (পরিচিতি নং ৬০৬৯), সাবেক চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর; বর্তমানে ওএসডি, মাউশি, ঢাকা ও এজাহার নামীয় ২ নম্বর আসামি প্রফেসর এ এম এইচ আলী আর রেজা, সাবেক সচিব, বর্তমানে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি), মাউশি, ঢাকা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের মঞ্জুরির ভিত্তিতে চার্জশিটে তাদের এ মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করা হয়।

তবে প্রাতিষ্ঠানিক চেক হস্তান্তর হওয়ার পর ক্লিয়ারিং জালিয়াতি হওয়ায় দুর্বল আর্থিক ব্যবস্থাপনার ফলে চেক জালিয়াতি সংঘটিত হয়েছে। এজন্য চেকের সিগনেটরি হিসেবে বর্ণিত দুইজন চেয়ারম্যান ও তিনজন সচিব সুস্পষ্টভাবে দায়িত্ব অবহেলা করেছেন। এছাড়া বর্ণিত সময়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডে কোনো অভ্যন্তরীণ অডিট পরিচালিত হয়নি। প্রতি অর্থবছর শেষে একটি হিসাব মিলকরণের ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে সচিবের নেতৃত্বে বোর্ডের হিসাব ও নিরীক্ষা বিভাগের উপপরিচালক মো. এমদাদুল হক ও অডিট অফিসার আব্দুস সালাম আজাদ কাজ করেছেন। কিন্তু ২০১৭-২০১৮ অর্থবছর হতে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পরিচালিত হিসাব মিলকরণ প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, তারা জালিয়াতি সঠিক সময়ে উদঘাটন করতে ব্যর্থ হয়েছেন, যা সুস্পষ্ট দায়িত্ব অবহেলা। বিধায় সাবেক চেয়ারম্যান,প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম, অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেন, সাবেক সচিব প্রফেসর এ এম এইচ আলী আর রেজা, প্রফেসর মো. তবিবার রহমান, বোর্ডের উপ-পরিচালক (হি ও নি), মো. এমদাদুল হক, অডিট অফিসার আব্দুস সালাম আজাদের বিরুদ্ধে বর্ণিত অপরাধের দায়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবগণ ইতোমধ্যে সরকারি চাকরি হতে অবসর গ্রহণ করায় শুধু এমদাদুল হক ও আব্দুস সালাম আজাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba