- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
মারা গেছেন ছেলে-পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক
- আপডেটেড: সোমবার ১১ Nov ২০২৪
- / পঠিত : ১১ বার
: ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অরবিন্দু মণ্ডল মারা গেছেন।
রোববার (১০ অক্টোবর ) বিকেল ৪টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
এদিকে অরবিন্দ মণ্ডলের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছলে দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন তার ছেলে বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও তার স্ত্রী কবিতা মণ্ডল। তবে বাবার মৃত্যুর জন্য ভাই ও ভাবি ছাড়াও স্থানীয় ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার মণ্ডল, একই গ্রামের কলেজশিক্ষক গণেশ চন্দ্র গাইনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অরবিন্দুর মেয়ে অঞ্জনা মণ্ডল।
অরবিন্দ মণ্ডলের মেয়ে অঞ্জনা মণ্ডল বলেন, বাবা বাঁশতলা রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ২০১০ সালে অবসরে যান। পরে শ্রবণশক্তি হারিয়ে যায়। অবসরের পর ভাই বিশ্বনাথ ও ভাবি কবিতা বাবাকে ভালো চোখে দেখত না। তাকে কারণে অকারণে নির্যাতন করত। গত বছর মা চপলা মণ্ডল মারা যাওয়ার পর থেকে নিজেই রান্না করে খেতেন বাবা। প্রতিবেশীরা বাবাকে খেতে দিতে চাইলেও ভাই-ভাবি গালাগালি করত। গত ২ নভেম্বর শনিবার সকালে বাবাকে বাড়ির উঠানে ফেলে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে ভাই-ভাবি।
তিনি বলেন, এ নিয়ে গত এক বছরে আটবার বাবাকে মারধর করে তারা। এরপরও বাবাকে পুলিশ গত ৫ নভেম্বর থানায় নিয়ে অভিযোগ দিতে বললে তিনি রাজি হননি। ৫ নভেম্বর ভাবি চলে যাওয়ার পরদিন বিকেলে ইউপি সদস্য সন্তোষ মণ্ডল, কলেজশিক্ষক গণেশ চন্দ্র গাইন, তাপস সরকার, সুফল সরকারসহ একটি মহল সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে ভাবিকে বাড়িতে তুলে দেন তারা।
অঞ্জনা মণ্ডল আরও বলেন, বাবার গচ্ছিত দেড় লাখ টাকা দুই দফায় হারিয়ে যায়। ভাবি কবিতা ওই টাকা চুরি করেছে বলে বাবা ধারণা করেন। ওই টাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য সন্তাষ মণ্ডলের সুদে দিয়েছেন ভাবি। যে কারণে সন্তোষ মণ্ডল ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার বাবাকে নির্যাতনে কোনো বাধা দেননি। যে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করা হতো সেই দড়ি বাবা অন্য জায়গায় লুকিয়ে রাখে। ২ নভেম্বর শনিবার সকালে মশারির নেট দিয়ে বেঁধে বাবাকে নির্যাতন করা হয়।
বাঁশতলা উত্তর পাড়ার কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কবিতা মণ্ডলের সঙ্গে ইউপি সদস্য সন্তোষ মণ্ডলের শুধু টাকা সুদ খাটানোর সম্পর্ক না। তাদের মধ্যে রয়েছে গভীর প্রেম। তবে গত সোমবার বাড়িতে পুলিশ আসলে ইউপি সদস্যের ছেলের মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায় কবিতা। দুই ছেলে রাজ ও দ্বীপকে তারা সঙ্গে নিয়ে যায়। গ্রামে আত্মগোপন করে থাকে শিক্ষকের ছেলে বিশ্বনাথ। মঙ্গলবার ভোরে বাড়িতে এসে দুই বোন ও বাবার কাছে নিজের ও স্ত্রীর কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চায় বিশ্বনাথ। তবে এতকিছুর পরও ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মামলা করতে চাননি অরবিন্দু মন্ডল। তবে অরবিন্দু মণ্ডলের দুই ভাই ভারতে যাওয়ার পর তাদের সম্পত্তি দখলে নিতে ইউপি সদস্য সন্তোষ মণ্ডল কবিতাকে কৌশলে নিজের আয়ত্তে রেখেছে।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অরবিন্দু মণ্ডল শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন আগে থেকেই। মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। ওনাকে মারধরের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার