আজঃ রবিবার ২২-১২-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: শনিবার ২১ Dec ২০২৪
  • / পঠিত : ৪ বার

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা

ডেইলিএসবিনিউজ ডেস্ক: আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সঙ্গে ২৫টি ক্যাডার নেতাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা সব অফিসে কর্মবিরতি এবং বৃহস্পতিবার কর্মস্থলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনসহ ৫টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচার পূর্ত ভবনে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ২৫টি ক্যাডারের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস থেকে আলাদা করার সুপারিশের সিদ্ধান্তে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২৫টি ক্যাডার নিয়ে গঠিত আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গঠিত সংস্কার কমিশনের মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সরকারের সব নীতি নির্ধারণ করে এবং বাস্তবায়নে নেতৃত্ব প্রদান করে সিভিল প্রশাসন। যা বর্তমানে ২৬টি ক্যাডার নিয়ে গঠিত। যেখানে কার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আমূল পরিবর্তন দরকার। সেখানে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বৈষম্যমূলকভাবে উপসচিব পুলে একটি ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা সুপারিশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পরে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করায় সিভিল সার্ভিসের অন্য ২৫টি ক্যাডারের সব সদস্যের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্তের সুযোগ নিয়ে একটি গ্রুপ ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রচার শুরু করেছে। সিনিয়র সার্ভিস পুলের (বা উপসচিব পুল) পদ কোনো নির্দিষ্ট ক্যাডারের নয়। সার্ভিস অ্যাক্ট ১৯৭৫ অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে এসব পদে নিয়োগের কথা থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে কোটা পদ্ধতি চালু রেখেছে প্রশাসন ক্যাডার।

তারা অভিযোগ করেন, সিভিল সার্ভিসের কার্যকর সেবা নিশ্চিত করতে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ থেকে কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে স্ব-স্ব ক্যাডারের অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তারা পদায়িত হবেন। বর্তমানে প্রতিটি সেক্টরে নীতি নির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা। যারা সেই সেক্টর সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ। ফলে সেক্টরগুলো কাঙ্ক্ষিত জনসেবা নিশ্চিত করতে পারছে না। তাছাড়া সব সেক্টরে একটি ক্যাডারের নিয়ন্ত্রণ থাকায় সৃষ্ট আমলাতান্ত্রিক সিন্ডিকেট, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও বৈষম্য রাষ্ট্রের সব সেক্টরকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। দেশের মানুষ প্রকৃত জনসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জনবান্ধব সরকারের পরিবর্তে দেশে বিভিন্ন সময়ে গড়ে উঠেছে জনবিচ্ছিন্ন স্বৈরাচারী সরকার।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ৫টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেগুলো হচ্ছে —

১. ২৩ ডিসেম্বর (সোমবার) প্রতিটি ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উদ্ভূত পরিস্থিতি বিষয়ে বিবৃতি দিবে।

২. ২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার), সকাল ১১-১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা সব অফিসে কর্মবিরতি পালন করা হবে।

৩. ২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার), সকাল ১১-১২টা পর্যন্ত সব অফিসে স্ব-স্ব কর্মস্থলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে।

৪. যে সব বিভাগে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়নি, অতি দ্রুত সেখানে সমাবেশ আয়োজন এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো হবে।

৫. ৪ জানুয়ারি (শনিবার) ঢাকায় সমাবেশ আয়োজন করা হবে এবং পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba