- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আসছে: কম্বাইন্ড হারভেস্টারে দ্রুত কাটা হচ্ছে গোপালগঞ্জে মাঠের ধান
- আপডেটেড: শনিবার ১৩ মে ২০২৩
- / পঠিত : ১৫৮ বার
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ১২ মে, ২০২৩ : দেশের উপকূলে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। মোখা’র হাত থেকে ফসল রক্ষায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সদর উপজেলা কৃষি অফিস।
এই সময় সব কৃষকের ক্ষেতে ধান থাকে। প্রকৃতিও বিরূপ আচরন করে। তাই শ্রমিক সংকট প্রকট হয়। এই পরিস্থিতিতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিস কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন মাঠে নামিয়েছে। এই মেশিন শ্রমিক সংকটে কৃষকের বন্ধু হিসেবে কাজ করছে। কৃষকের ধান কেটে, মাড়াই ও ঝেড়ে বস্তাা বন্দি করে দিচ্ছে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ২০ হাজার ৯২৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ১৫/২০ দিন আগে থেকেই এই উপজেলায় পাকা ধান কাটা শুরু হয়। এই পর্যন্ত ৯৫ ভাগ জমির ধান অর্থাৎ ১৯ হাজার ৮৮২ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষে হয়েছে। এরই মধ্যে ঘুর্ণিঝড় মোখা’র পূর্বাভাস জারি হয়েছে। এই ঝড়ের আগেই কৃষকের ক্ষেতের অবশিষ্ট ৫% মানে ১ হাজার ৪৪ হেক্টরের ধান ৫টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে আমরা কেটে দিচ্ছি।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ও শ্রমিক সংকটের মধ্যে মেশিন দিয়ে ধান কেটে, মাড়াই ও ঝেড়ে কৃষকের ঘরে তুলে দেয়া হচ্ছে।
এতে সন্তুস্টি প্রকাশ করে কৃষকরা কম্বাইন্ড হারভেস্টারকে তাদের বন্ধু হিসেবে অবহিত করেছেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিন ও মনির গাজী বলেন, ধান কাটা মৌসুমে আমাদের সবার জমিতে ধান থাকে। সেই সাথে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কাতো রয়েছেই। এই পরিস্থিতিতে সদর উপজেলা কৃষি অফিস মেসিন দিয়ে আমাদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছে। এতে আমাদের খরচ ও শ্রম সাশ্রয় হচ্ছে। ঝড়ের আগেই আমাদের ধান ঘরে উঠে যাচ্ছে। কৃষি অফিস এই উদ্যোগ না নিলে আমাদের ধান ক্ষেতেই নষ্ট হওয়ার আশংকা ছিল।
কৃষি অফিস আমাদের এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করেছে। এই জন্য কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই। এছাড়া এখান থেকে যান্ত্রিক কৃষি কাজ সম্পর্কেও ধারণা পেয়েছি। আগামীতে আমরা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করে দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকার রাখব ইনশাল্লাহ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, কৃষির যান্ত্রিকীকরণ পদ্ধতি জনপ্রিয় করতে ও প্রতিকূলতার মধ্যে কৃষকের ঘরে ধান তুলে দিতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় আমরা ৫০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করছি। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ হলে কৃষক নিরাপদে ফসল ঘরে তুলতে পরবেন। এতে শ্রমিক নির্ভরতা কমবে। কম খরচে কৃষক অধিক ফসল ঘরে তুলে লাভবান হবেন।ঝড়ের আগেই কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের সহযোগিতায় শতভাগ ধান আমরা কৃষকরে ঘরে তুলে দিতে পারব। আর মেশিন দিয়ে ধান ঘরে তুলতে পেরে কৃষকরা কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই কার্যক্রম কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণে আশা জাগিয়েছে।
বাসস
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার