আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯-০৯-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

উপজেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা না করার ঘোষণা সাত চেয়ারম্যানের

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: শুক্রবার ১৬ জুন ২০২৩
  • / পঠিত : ১৭৮ বার

উপজেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা না করার ঘোষণা সাত চেয়ারম্যানের

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ৭ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা বর্জন করেছেন।উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সরকারি বরাদ্দ যথাযথভাবে না পাওয়ার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে চেয়ারম্যানরা সভা বর্জন করেন।

অনুপস্থিত ছিলেন উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হক লিপন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুসাম্মাৎ হোসনেয়ারা মিলি।

এসময় তারা সভা বয়কট এবং পরিস্থিতির উন্নতি ও তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনকে কোনো প্রকার সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকারও ঘোষণা দিয়েছেন।

৭ চেয়ারম্যান হলেন- রামপাল সদরের ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন, বাঁশতলীর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, উজলকুড়ের মুন্সি বোরহান উদ্দিন, গৌরম্ভার এর মো. রাজীব সরদার, পেড়িখালীর মো. রফিকুল ইসলাম, ‍ভোজপাতিয়ার তরফদার মাহফুজুল হক ও মল্লিকের বেড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তালুকদার ছাবির আহম্মদ।

বৃহস্পতিবার রামপাল উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে নির্ধারিত সমন্বয় সভায় হাজির হয়ে ৭ জন চেয়ারম্যান তাদের অভিযোগ সম্বলিত একটি পত্র রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিবুল আলমের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে তারা দাবি করেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য স্থানীয় সরকারের গুরুত্ব অপরিসীম এবং ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সরকারের যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থানীয়ভাবে বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। এরমধ্যে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এডিবি ও রাজস্ব ফান্ডের কোটা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে পেয়ে থাকি। যা দিয়ে ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হয়। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় অত্র রামপাল উপজেলার ১০ জন ইউপি চেয়ারম্যানই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন উপজেলা পরিষদ থেকে কোনো উন্নয়ন বরাদ্দ আমাদেরকে দেয় না। যে কারণে আমাদের ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন উন্নয়ন বরাদ্দের সুষম বণ্টন না করে তার ব্যক্তিগত পছন্দের অনির্বাচিত দলীয় লোকদের দিয়ে নিন্মমানের কাজ করে কমিশন বাণিজ্য করছেন। যা সর্বমহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। নিন্মমানের কাজ ও কমিশন বাণিজ্যটি মাঠপর্যায়ে তদন্ত করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে বলেও জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঁশতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে সবাই নৌকার চেয়ারম্যান। তবে আমরা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ৭ জন চেয়ারম্যান কোনো প্রকার বরাদ্দ পায়নি। বরং বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছি। এ বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা ৭ চেয়ারম্যান ভবিষ্যতে সমন্বয় সভায় অংশগ্রহণ করবো না।

তবে অভিযোগ অস্বিকার করে রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পদক সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সাত জন চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছেন সেটি সঠিক নয়। বরাদ্দকৃত অর্থ ১০ ইউনিয়নে জনসংখ্যার অনুপাতে সঠিক হারে বণ্টন করা হয়। আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য, ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য-এই মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করা হচ্ছে। এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিদান জানাই।

এ বিষয়ে রামপালের ইউএনও নাজিবুল আলম বলেন, জেলা প্রশাসক বরাবর ৭ জন চেয়ারম্যান আমার মাধ্যমে একটি দরখাস্ত দিয়েছেন। আমি এটি পাঠিয়ে দিয়েছি।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba