আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯-০৯-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

শ্রেণিকক্ষে বিছানা পেতে ঘুমাচ্ছেন শিক্ষিকা, বাতাস করছে শিক্ষার্থী

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: রবিবার ১৬ জুলাই ২০২৩
  • / পঠিত : ১৬৬ বার

শ্রেণিকক্ষে বিছানা পেতে ঘুমাচ্ছেন শিক্ষিকা, বাতাস করছে শিক্ষার্থী

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বিদ্যালয় চলাকালীন শিক্ষার্থীদের দিয়ে হাত পাখায় বাতাস করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এছাড়া ওই স্কুল শিক্ষিকার বিদ্যালয় চলাকালীন শ্রেণিকক্ষে বিছানা পেতে শুয়ে থাকার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের গাড়াগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পেয়ারী বেগম দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল করিমের ছত্রছায়ায় এসব কর্মকাণ্ড করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোর কোনটিতে শিক্ষিকা পেয়ারী বেগম বিছানা পেতে ঘুমাচ্ছেন। কোনটিতে তিনি ক্লাসে বসে খাতায় কিছু লিখছেন আর হাত পাখা দিয়ে বাতাস করছে এক শিক্ষার্থী। কোনটিতে তিনি ঘুমাচ্ছেন পাশে শিক্ষার্থী স্মার্ট ফোনে গেম খেলছে, শিক্ষিকার পাশে হাতপাখা, টিফিন বাটি, তার ভ্যানিটি ব্যাগ সবই রয়েছে।

অভিভাবক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পেয়ারী বেগম প্রায় প্রতিদিনই শিক্ষার্থীদের হাতে হাতপাখা ধরিয়ে দেন ও পালাক্রমে তাদের দিয়ে বাতাস করতে বলেন। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের ছত্রছায়ায় এই শিক্ষিকা শ্রেণিকক্ষে বিছানা পেতে ঘুমান। এ নিয়ে কথা বলায় ও ছবি তোলায় স্থানীয় একজনকে মামলার ভয় দেখান ওই শিক্ষিকা।

এ বিষয়ে জানতে সহকারী শিক্ষিকা মোছা. পেয়ারী বেগমের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল করিম শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন ও বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করেন।

গাড়াগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল করিম বলেন, আমরা ম্যানেজিং কমিটিসহ বসে আলোচনা সাপেক্ষে ওই শিক্ষিকাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।

বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল কাফি বলেন, তাকে সংশোধন হবার সুযোগ করে দিতে হবে ওই শিক্ষিকা সকলের সামনে তার ভুল স্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বলেন, আমি ছবিগুলো দেখেছি আমি তাকে শোকজ করব। জানতে চাইব কি কারণে তিনি বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে শিশুদের দিয়ে এসব কাজ করান।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করানোর কোনো নিয়ম নেই। যদি কোনো শিক্ষক এই ধরনের কাজ করে থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba