আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯-০৯-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

পদ্মা-মধুমতির ভাঙনে নির্ঘুম রাত কাটছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: বৃহস্পতিবার ২৪ Aug ২০২৩
  • / পঠিত : ১৭২ বার

পদ্মা-মধুমতির ভাঙনে নির্ঘুম রাত কাটছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের

: নদী ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে পদ্মা ও মধুমতি নদী তীরের প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের। বেঁচে থাকার জন্য ছাড়তে হচ্ছে বাপ-দাদার ভিটে। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় চোখের পলকেই মধুমতি নদীর গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে মাথা গোঁজার একমাত্র ঠিকানা। এছাড়াও ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুল, বাজার, পাকা সড়ক, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ ফসলি-জমি ও বসতবাড়ি। শুধু মধুমতি নয় এমন চিত্র পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁয়ও।

বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে ভাঙনে দিশেহারা ফরিদপুরের পদ্মা-মধুমতি ও আড়িয়াল খাঁ পাড়ের বসবাসরত বাসিন্দারা। প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ওই অঞ্চলের মানুষের সম্পদ। ভাঙন রোধে সাময়িকভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলছে নদীতে। তবে তা চাহিদার তুলনায় অতি সামান্য।

সরেজমিনে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাঁচুরিয়া, বানা ও গোপালপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মধুমতি নদীর দেড় কিলোমিটার অংশজুড়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় তীব্র আকারে ভাঙনের দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে পানি বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে ভাঙন। গত কয়েক বছরে বিলীন হয়ে গেছে দুই কিলোমিটার জায়গা। বিলীন হয়েছে দুই শতাধিক বসতভিটা ও কয়েকশ একর ফসলি জমি। এমন চিত্র ফরিদপুর সদর, চরভদ্রাসন, সদরপুর উপজেলায় পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর পাড়ের।

অনেকেই সব হারিয়ে দিন কাটাচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে। অনেকে শেষ সম্বল ঘরবাড়ি, গাছপালা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ৫ শতাধিক পরিবার। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে তারা। এছাড়াও সরকারি স্কুল, পাকা সড়ক, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

নদীপাড়ের বাসিন্দারা জানালেন তাদের ভোগান্তির গল্প। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পানি বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভাঙন। নদী পাড়ের অভাবী মানুষগুলো সম্পদ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

এদিকে ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন পয়েন্টে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলানোর কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় কম। স্থানীয়দের দাবি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, ভাঙন এলাকায় বরাদ্দ অনুযায়ী আপৎকালীন জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। নদীভাঙন এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে, বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী শুকনা মৌসুমে স্থায়ী বাঁধের কাজ করতে পারবো।

আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টু বলেন, প্রতি বছরই মধুমতির ভাঙনে কয়েকশ পরিবার বসতবাড়ি, ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়। এই সময়ে যে ভাঙন হচ্ছে তা রোধে আরো বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলতে হবে।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba