আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯-০৯-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

ভারি বর্ষণে ফের ডুবেছে চট্টগ্রাম, পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: সোমবার ২৮ Aug ২০২৩
  • / পঠিত : ৭৭ বার

ভারি বর্ষণে ফের ডুবেছে চট্টগ্রাম, পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

: রাতভর ভারি বর্ষণে আবারও ডুবে গেছে চট্টগ্রাম। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ডুবেছিল পুরো চট্টগ্রাম। মাসের শেষে এসে আবারও বৃষ্টিতে ফের ডুবেছে এ শহর।

শনিবার থেকে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনো মুষলধারে বৃষ্টি ঝরছে চট্টগ্রামে। দিনভর থেমে থেমে গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও মধ্যরাত থেকে বৃষ্টির মাত্রা বেড়ে যায়। টানা এই বৃষ্টিতে বরাবরের মতই তলিয়ে গেছে নগরের নিচু এলাকাগুলো।

এতে সাধারণ অফিসগামী মানুষের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগে পড়েছে রবিবার থেকে শুরু হওয়া উচ্চ মাধ্যমিক (এইএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো নিয়েও শঙ্কায় পড়েছেন অভিভাবকরা।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত রাত ১২টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত নগরে ১৪৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার এবং রবিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আমবাগান আবহাওয়া অফিস। একইসময়ে ৭৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

এদিকে এমন বৃষ্টিপাত আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকবে জানিয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের ওপর মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে আগামী দুয়েকদিন এমন টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় কোথাও কোথাও পাহাড় ধসেরও ঝুঁকি রয়েছে।'

সরেজমিনে দেখা যায়, নগরের দুই নম্বর গেট, জিইসি, মুরাদপুর, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, ফিরিঙ্গী বাজার, বক্সিবিট, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে হাঁটু থেকে কোমর পানিতে। যে বন্যা পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রামসহ তিন শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা পেছানোয় এসব বোর্ডে পরীক্ষা একঘণ্টা পরে শুরু হয়েছে আজ রবিবার। তাতেও যেন ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের। জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বড় ভোগান্তিতে পড়েছে তারাই।

এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক মো. মোস্তফা বলেন, ‘রাত থেকে যখন দেখতেছি অনেক বৃষ্টি হচ্ছে তখন থেকে ভয় পাচ্ছিলাম। বাচ্চাকে কিভাবে পরীক্ষা কেন্দ্র দিয়ে আসব! বৃষ্টি না থাকলে বাচ্চা নিজে যেতে পারত। এখন যে বৃষ্টি আর রাস্তাঘাটের কথা আর নাই বলি। এই বৃষ্টিতে ঠিকঠাক মতো গাড়িও পাওয়া যায় না। তার ওপর দ্বিগুণ তিনগুণ ভাড়া চায়। এখন যেহেতু বিপদে পড়েছি বাধ্য হয়ে যেতে হবে। অনেক কষ্ট করে বাচ্চাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাই দিলাম। আসার সময় দেখছিলাম অনেকে পরীক্ষার্থী গাড়ির অপেক্ষায় আছে। কি যে হবে তাদের!'

এই অভিভাবক আরও বলেন, যে বন্যা বৃষ্টির কারণে পরীক্ষা পিছিয়েছে, সে বন্যা-বৃষ্টি তাদের পিছু ছাড়লো না। ওদের কপালটাই খারাপ। এখন যদি পরীক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকরা দেরি হওয়ার বিষয়টা সেক্রিফাইস করেন তা হলে পরীক্ষার্তীদের জন্য ভালো হত। 'কারণ অনেক পরীক্ষার্থী যথা সময়ে পৌঁছাতেই পারেনি কেন্দ্রে।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba