আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯-০৯-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

ওসি খাইরুলের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত করবেন পিবিআই এসপি নাইমা

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: বুধবার ১৮ Oct ২০২৩
  • / পঠিত : ১৭৪ বার

ওসি খাইরুলের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত করবেন পিবিআই এসপি নাইমা

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল ইসলামসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তের আদেশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে পৌঁছেছে। এখন বিধি অনুযায়ী আসামিদের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় মামলা রেকর্ড প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আদালতের আদেশে মামলাটি রেকর্ডের পর পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য বলা হয়েছে।


মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর এসপি নাইমা সুলতানা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মামলার আদেশ পিবিআই কার্যালয়ে পৌঁছেছে। আইনানুযায়ী চান্দগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করা হবে। এরপর নিয়মানুযায়ী আমিই মামলাটির তদন্ত করব।


এর আগে, গতকাল (সোমবার) পুলিশ হেফাজতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কর্মকর্তা ছৈয়দ মো. শহীদুল্লাহকে হত্যার অভিযোগ এনে চান্দগাঁও থানার ওসি মো. খাইরুল ইসলাম, ওই থানার পরিদর্শক তদন্ত মনিবর রহমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফ, এএসআই সোহেল রানাসহ মোট নয়জনের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহর স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার।

পরে মামলাটি রেকর্ডের জন্য চান্দগাঁও থানার ওসি খাইরুল ইসলামকে নির্দেশ দেন আদালত। তবে মামলাটি থানায় রেকর্ডের আগেই সোমবার (১৬ অক্টোবর) হঠাৎ স্ত্রীর অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছেন চান্দগাঁও থানার ওসি খাইরুল ইসলাম।


এছাড়া একই দিন মামলার আরেক আসামি ও চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক তদন্ত মনিবর রহমানকে নগর উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) পশ্চিম জোনের কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। পাশাপাশি ডিসি পশ্চিম কার্যালয়ের মো. ছাবেদ আলীকে চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনিই চান্দগাঁও থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জানা গেছে, শহীদুল্লাহ দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক (ডিডি) ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি অবসর নেন। তিনি নগরের চান্দগাঁও থানার এক  কিলোমিটার এলাকায় থাকতেন। সেখানে জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত গত ২৯ আগস্ট দুদকের সাবেক কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও তার শ্যালক মোহাম্মদ কায়সার আনোয়ারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন রনি আক্তার তানিয়া নামে এক নারী। মামলার অভিযোগ শুনে বিচারক ওইদিনই কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়া অপরাধ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। 

ওই সমন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদ গায়েব করে ফেলেন। ফলে আসামিরা আদালতে হাজির হওয়ার কোনো সমন পাননি। এরপর মামলার পরবর্তী তারিখ দেন আদালত। ওই তারিখে মামলার বাদী হাজির না হওয়ায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন।

কিন্তু ওইদিনই আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে দেন। এরপর গত ৩ অক্টোবর রাতে শহীদুল্লাহকে আদালতের ওয়ারেন্ট দেখিয়ে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর শহীদুল্লাহ পুলিশ হেফাজতে মারা যান। 

মামলার বাকি আসামিরা হলেন— চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা এসএম আসাদুজ্জামান (৫২), মো. জসীম উদ্দীম (৩৭), মো. লিটন (৪৮), রনি আক্তার তানিয়া (২৬) ও কলি আক্তার (১৯)। 

এদিকে, যে মামলায় দুদকের শহীদুল্লাহ গ্রেপ্তার হয়ে মারা গেছেন, গতকাল (সোমবার) আদালতে সেই মামলাটি বাদী নিজে হাজির হয়ে প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। তবে এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেননি।


ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba