- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
যশোরে বিআরটিসি বাসে আগুন কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ
- আপডেটেড: শনিবার ০৪ Nov ২০২৩
- / পঠিত : ২০২ বার
যশোরে বিআরটিসি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে শহরের মণিহার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আগুনে পুরো বাসটি পুড়ে যায়। তবে পার্কিং করে রাখা বাসটিতে যাত্রী না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আছে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধা পর্যন্ত অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। জড়িতদের কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ। তবে ওই ঘটনায় বিএনপি-আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিক নেতারা জানান, বিআরটিসির এই যাত্রীবাহী বাসটি শুক্রবার সকাল ৭টায় মণিহার থেকে ভোলার চরফ্যাশানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে বাসটি শহরের মণিহার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এনে পার্কিং করে রাখেন চালক। এরপর গাড়িটিতে মোটরপার্টস তোলা হয়। এরপর চালক ও হেলপাড় গাড়ি থেকে নেমে যান। রাত পৌনে ১১টার দিকে হঠাৎ করে গাড়ির পেছনের অংশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন আশপাশের লোকজন। দ্রুত আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু এরই মধ্যে বাসের সিংহভাগই পুড়ে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে, বাসে আগুনের খবর পেয়ে পুলিশ, ডিবি, র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা বাসের চালক, হেলপার, প্রত্যক্ষদর্শীসহ স্থানীয় শ্রমিকনেতাদের সাথে কথা বলেন।
বাসটির চালক মিলন হাওলাদার জানান, তিনি গাড়িটি পার্কিং করে রেখে গোছল করতে গিয়েছিলেন। এরই মধ্যে আগুনের খবর পেয়ে ছুটে আসেন। এসে দেখেন গাড়ির পেছন ও ওপরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
গাড়ির হেলপার মাসুম বিল্লাহ বলেন, ভোলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে পার্টসপাতি তোলার পর তিনি সামনের দিকে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে লোকজনের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে তিনি ফিরে এসে দেখেন বাসে আগুন জ্বলছে। কারা আগুন দিল বা কিভাবে আগুন ধরলো তা তিনি দেখেননি।
যশোর জেলা পরিবহণ সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুণ অর রশিদ ফুলু জানান, বিআরটিসি বাসটি কাউন্টার থেকে একটু দূরে বিপরীত দিকে পার্ক করে রাখা ছিল। সেখানে তেমন লোকজনের উপস্থিতি ছিল না। এরই মধ্যে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
তিনি দাবি করেন, বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের মধ্যে মণিহার এলাকায় যাতে কোনো নাশকতা না হয় সেদিকে শ্রমিক কড়া অবস্থান ছিল। এ কারণে যশোরে অবরোধের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। এজন্য মরিয়া হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি জামায়াত ক্যাডাররা এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, বিআরটিসি বাসে আগুন দেয়ার খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারা বাসের চালক, হেলপারসহ প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেছেন। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা এই নাশকতার সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে পুলিশ, ডিবি, র্যাব সবাই একযোগে কাজ শুরু করেছে। দ্রুতই তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
তবে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শুক্রবার সন্ধা পর্যন্ত যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগ কাউকে আটকও করতে পারেনি।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, মণিহার এলাকায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তবে ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি বলেছেন, ‘বিএনপির তিনদিনের অবরোধ জনগণ মানেনি। এমন বাস্তবতায় তারা আরও দু’দিনের অবরোধের ডাক দিয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে এই অবরোধও আনসাকসেস হবে। এজন্য মানুষের মাঝে ভীতি ছড়াতে, আতঙ্ক ছড়াতে তারা বাসে আগুন দিয়েছে। তাদের পরিকল্পনা, পেট্রোল বোমা, গানপাউডার দিয়ে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়াতে পারলে তারা ঘর থেকে বের হবে না। কিন্তু তাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না। আওয়ামী লীগ জনগণের পক্ষে আছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় শান্তি সমাবেশ করছে। জেলা আওয়ামী লীগ যশোরে যেকোনো ধরণের সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের অপতৎপরতা রুখে দেবে।
অন্যদিকে, বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। বিবৃতিতে তিনি দাবি করেছেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির চলমান আন্দোলনকে নস্যাৎ এবং ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে এ অপতৎপরতা শুরু হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, ‘সারা শহরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ২৪ ঘণ্টা সতর্ক নজরদারির মাঝে এমন একটি দুষ্কর্ম, সরকারের ইন্ধনেই ঘটেছে বলে আমরা মনে করছি। আমাদের এ আন্দোলনকে নস্যাৎ করবার জন্য অত্যন্ত ঘৃণিতভাবে বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার