নোয়াখালীতে জামাইকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ

: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে শ্বশুরবাড়িতে জামাইকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিয়া থানা পুলিশ। 

নিহত আফছার উদ্দিন (৪০) জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরমজিদ গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের দক্ষিণ চরঈশ্বর রায় গ্রামে এ ঘটনা ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়রা জানান, ১৬ বছর আগে হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের দক্ষিণ চরঈশ্বর রায় গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের বড় মেয়ে ইয়াসমিন আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন আফছার। বিয়ের পর সে তার স্ত্রীকে নিয়ে জীবিকার তাগিদে চট্টগ্রাম থাকতেন। শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে ধারের টাকা নিয়ে আফছারের দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলে আসছিল।

গত সোমবার (১৩ নভেম্বর) চট্টগ্রাম থেকে তার শ্বশুরবাড়িতে এসে তার পাওনা টাকা দাবি করে আফছার।

জানা যায়, ভিকটিমের শ্বশুর-শাশুড়ি চৈত্র মাসে তার পাওনা টাকা পরিশোধ করবে বলে জানায়। একপর্যায়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্বশুরবাড়িতে রহস্যজনক পেট্রলের আগুনে আফছারের শরীরের ৯০-৯৫ শতাংশ পুড়ে যায়।

অভিযোগ রয়েছে, ওই সময় শ্বশুরের পরিবারের সদস্যরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেননি।

পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে শ্বশুরের পরিবারের সদস্যরা তাদের সহযোগিতায় তাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় প্রথমে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নেওয়া হয়েছে। নিহতের স্বজনরা মামলা করার জন্য থানায় এসেছেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ সুপার (হাতিয়া সার্কেল) আমান উল্লাহ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় শ্বশুর-শাশুড়িসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে পাওনা টাকার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা জামাইয়ের শরীরে আগুন দিয়েছেন। আমরা আগুন দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছি। এটা হত্যাই হবে। শ্বশুর-শাশুড়িসহ তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।