আজঃ বুধবার ০৪-১২-২০২৪ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

খেজুরের রস খেয়ে নিপা ভাইরাসে দুজনের মৃত্যু

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: সোমবার ২৯ Jan ২০২৪
  • / পঠিত : ১৯০ বার

খেজুরের রস খেয়ে নিপা ভাইরাসে দুজনের মৃত্যু

: নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মান্তা ও ঘোস্তা গ্রামে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সর্বশেষ শনিবার দিনগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বেসরকারি (পপুলার) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাবুল হোসেন।

তিনি উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মান্তা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মাইনুদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন। 

অপরদিকে গত ১৬ জানুয়ারি একই ইউনিয়নের ঘোস্তা জাহাঙ্গীনগর গ্রামের নকুমুদ্দিনের ছেলে লুৎফর রহমান (২৭) খেজুরের রস খেয়ে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে পুটাইল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য জসিম উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন। 

ওই দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. লুৎফর রহমান। 

ভুক্তভোগী পরিবারের বরাত দিয়ে পুটাইল ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুর রহমান মহিদ জানান, ১৫ দিন আগে বাবুল হোসেন খেজুরের রস খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য প্রথমে ১৬ জানুয়ারি তাকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরিভিত্তিতে তাকে ঢাকার ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার রাত ১২টার দিকে মারা যান তিনি। রোববার বেলা ১১টার দিকে মান্তা নিজ গ্রামে জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়।

এদিকে পুটাইল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জানান, এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি তার ওয়ার্ডের ঘোস্তা জাহাঙ্গীরনগর গ্রামে খেজুরের রস খেয়ে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান নকিমুদ্দিনের ছেলে লুৎফর রহমান (২৭)। 

তিনি আরও বলেন, লুৎফর খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ার পর তার মাথাব্যথা ও জ্বর শুরু হয়। প্রথমে ঘোস্তা বাজারের স্থানীয় ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ এনে খাওয়ানো হয়; কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ জানুয়ারি মারা যান লুৎফর।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba