- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
ঘুষ-দুর্নীতির আখড়া জাজিরার বড়কান্দি ইউনিয়ন ভূমি অফিস
- আপডেটেড: বুধবার ২৮ Feb ২০২৪
- / পঠিত : ১৬৫ বার
: শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। পদে পদে ঘুষ-দুর্নীতির কারণে এখানে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।
সম্প্রতি তার নিজ দপ্তরে বসে সেবাগ্রহীতাদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ (ঘুষ) গ্রহণের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এলাকাবাসী। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি তার দপ্তরে বসে প্রকাশ্যে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের থেকে নগদ অর্থ গ্রহণ করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মতিউর রহমান এই ইউনিয়ন ভূমি অফিসে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, জমির মাঠপর্চা নিতে এই ভূমি অফিসে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দিতে হয়। আর কর্মকর্তার সবচেয়ে বড় দুর্নীতির জায়গা হল জমির মিউটিশন করা ও খাজনা কাটানো। জমি ক্রয় করার পরে প্রত্যেক জমির মালিককেই বাধ্যতামূলক জমির রেকর্ড (মিউটিশন) করতে হয়। সরকারি ধার্য অনুযায়ী মিউটিশন ফি ১১৭৫ টাকা। কিন্তু ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমান জমির মালিকদেরকে বিভিন্নভাবে এটা ওটা বুঝিয়ে হয়রানি করে ১০ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকার চুক্তি করেন জমির মিউটিশনের জন্য। ১০ টাকা খাজনার জন্য গুনতে হয় ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। জমির মালিকেরা নিরুপায় হয়ে কর্মকর্তার ফাঁদে পা দিয়ে হাজার হাজার টাকা গচ্ছা দেয়।
মনির শিকদার নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, এখানে কম ঘুষে বেশি ঘোরাঘুরি, বেশি ঘুষে কাজ তাড়াতাড়ি। আমি বাড়ির জমির খাজনা দিতে এসেছিলাম। আমার থেকে খাজনার রশিদে উল্লিখিত টাকার থেকে বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে।
গরম বাজার এলাকার ইউনুছ মাদবর নামে একজন বলেন, আমাকে আমার বাবা জমি দলিল করে দিয়েছে, সেই জমি মিউটেশন করতে এসেছি। তিনি আমার থেকে ৭ হাজার টাকা নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক ভুক্তভোগী বলেন, গত দুই মাস আগে আমি জমির খাজনা দিতে বড়কান্দি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে ভূমি কর্মকর্তা আমাকে ১৫০ টাকার একটি খাজনার চেক কেটে দিয়ে ২ হাজার টাকা নিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, বড়কান্দি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দুর্নীতি এমন চরমে পৌঁছেছে। সরকারি নীতিমালার বাইরে চুক্তি অনুযায়ী মোটা অঙ্কের ঘুষ ছাড়া কোনো নামজারি হয় না। নামজারির জন্য ১০ হাজার থেকে মোটা অঙ্ক আদায় করা হয় উপজেলা ভূমি অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন স্তরে ভাগ দেওয়ার কথা বলে।
বড়কান্দি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমানের কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি গ্রাহকদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি বাড়তি কোনো টাকা নেই না। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।
এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, আমাদের কাছে এর আগেও বড়কান্দি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। তদন্ত শেষে দ্রুত তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার