- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
তাপপ্রবাহে গলছে যশোর-নড়াইল মহাসড়কের পিচ, তদন্তে দুদক
- আপডেটেড: শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
- / পঠিত : ৮৮ বার
যশোরে দাবদাহে পিচ গলা সড়ক তদন্তে নেমেছে দুদক। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ২টায় যশোর-নড়াইল সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে তাপমাত্রাসহ বিভিন্ন আনুষঙ্গিক বিষয় পরীক্ষা করেন দুদকের কর্মকর্তারা। এসময় সড়ক ও জনপদ বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুই সপ্তাহ ধরে প্রচন্ড দাবদাহের কারণে গলতে শুরু করে যশোর-নড়াইল আঞ্চলিক মহাসড়কের পিচ। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
পরিবহন শ্রমিক, রাজনৈতিক নেতাসহ সচেতন মহলের দাবি দুর্নীতি করতে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ করায় পিচ গলে যাচ্ছে। এতে করে যানবাহন চলাচলে সমস্যায় পড়ছেন চালকরা। বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্দেশে যশোর নড়াইল সড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে সড়কের গলা পিচ পরীক্ষার পাশাপাশি সড়কের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেন দুদকের কর্মকর্তারা।
সড়ক পরিদর্শনকালে দুদক যশোরের সহকারী পরিচালক চিরঞ্জন নিয়োগী, সহকারী পরিদর্শক সাফিউল্লাহসহ সড়ক বিভাগের দুইজন সহকারী প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।
দুদকের যশোরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আল আমিন জাগো বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্দেশে যশোর-নড়াইল সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সড়কের গলা পিচ পরীক্ষা করেছি। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত লিপিবদ্ধ করে আমরা প্রধান কার্যালয়ে পাঠাবো।’
সড়ক বিভাগের তথ্য মতে, চার মাস আগে যশোর-নড়াইল আঞ্চলিক মহাসড়কে পাথর কার্পেটিংয়ের কাজ করা হয়। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিলো ৩৫ কোটি ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
সরেজমিনে যশোর-নড়াইল সড়কের যশোর অংশের ঝুমঝুমপুর এলাকাতে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবারও সড়কের পিচ গলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সড়কে যান চলাচলের সময় পিচ চাকায় লেগে যাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও যানবাহনের চাকার দাগ বসে যাচ্ছে সড়কে।
এ সড়কে চলাচলকারীরা জানান, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে সড়ক সংস্কারের সময়। এ সড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকার অধিকাংশ জায়গার পিচ গলে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্টদের নির্মাণ কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দুদক ও সড়ক জনপদের কর্মকর্তাদের সামনে।
মুরাদ হোসেন নামে স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, ‘রোদ গরমে দুপুর থেকে রাস্তার পিচ গলতে শুরু করে। দুপুর গড়ানোর পর রাস্তার পিচ যেনো কাদায় পরিণত হয়। ফলে রিকশার চাকা রাস্তায় আটকে যায়। এতে তাদের এক্সিডেন্টের ঝুঁকি বাড়ে, তেমনি রাস্তারও এবড়ো থেবড়ো হয়ে যাচ্ছে।’
নিরব হোসেন নামে স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ‘যশোর নড়াইল মহাসড়ক নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেভাবে নির্মাণ করছে, এতে ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। সড়কে হেঁটে চললে জুতা পিচের সঙ্গে আঁটকে যাচ্ছে। এই দায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের।’
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তারা সাধারণত সড়কে যে পিচ ব্যবহার করেন তা ৬০-৭০ গ্রেডের। এর গলনাঙ্ক ৪৮ থেকে ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে এই পিচ গলার কথা। কিন্তু তার অনেক আগেই পিচ গলে যাচ্ছে।
সওজ সংশ্লিষ্ট সূত্র পিচ গলার কারণ হিসেবে জানিয়েছে, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির নিচে থাকলেও বাতাসের আর্দ্রতার কারণে অনুভূতির পরিমাণ আরও কয়েক ডিগ্রি বেশি হয়। সড়কের পিচের ওপর এ তাপমাত্রা আরও প্রায় পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকে। আর কালো হওয়ায় এই পিচ সূর্যের তাপও শোষণ করে বেশি। এছাড়া সড়কে চাকার ঘর্ষণের ফলে উৎপাদিত তাপও এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় পিচ গলে যেতে পারে। তবে এর বাইরে সড়কের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘যশোর-নড়াইল সড়কের যেসব স্থানে বিটুমিনের পরিমাণ বেশি পড়েছে, গরমে সেখানে বিটুমিন গলে যাচ্ছে। এজন্য গলে যাওয়া স্থানগুলোতে বালি ও নুড়িপাথর দেওয়া হচ্ছে। যাতে গলে যাওয়া পিচ পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।
তিনি আরও বলেন, সড়কে নিম্নমানের কোনো সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। দুদক তদন্ত করছে। অনিয়ম হলে তাদের তদন্তে জানা যাবে।’
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার